নিজেস্ব প্রতিবেদক।। পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে মহেশখালী উপজেলার পৌরসভাস্থ বানিয়ার দোকান বাজারে স্থানিয় মমতাজ আহমদ ও সোলতান আহমদ নামে দুই ব্যক্তির দোকান-ঘরসহ সাত স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হঠাৎ দোকান-ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত দুই দোকান মালিক। আগুনে পুড়ে যাওয়া টিনের দোকান ঘরে- মুদির দোকান, চায়ের দোকান, কুলিং কর্ণার, মুরগির দোকান ও আবাসিক ঘরের স্থাপনা ছিলো।
দোকান মালিকরা জানান- রাতে একদল লোক আমাদের দোকান-ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে থাকে দোকান ও ঘরসহ সব মালামাল। তখন আগুনের ভয়ে এগিয়ে আসেনি কেউ। পরে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। যার কারণে ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছে তাঁরা।
আগুনে পুড়ে যাওয়া চালের দোকান মালিক শাহাজান বলেন- দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে দোকানে চলে আসেন। বাজারের পাশে কোনো জলাশয় বা পানির ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভানো যায়নি। ঘণ্টাখানেক ধরে চলা এই অগ্নিকাণ্ডে ১০ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাঁর। পরদিন পৌর মেয়র ও ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷ এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার ও স্থানিয়রা জানান- ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের পূণরায় দোকান ঘর নির্মাণ করে দিলে অন্তত দোকানের মালিক/ভাড়াটিয়াদের সন্তানেরা জীবনের তাগিদে দু-মুঠো ডালভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। আর যারা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে দোকান-ঘরে আগুন দিয়েছে তাদের খুঁজে বের কনে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।