রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালীর প্রবেশদ্বার কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার চালিয়াতলীতে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। উক্ত স্থানে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে মাতারাবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ ও গভীর সমুদ্র বন্দরের যাতায়াতের মাতারবাড়ি-চালিয়াতলী সড়ক, শাপলাপুর সড়ক এবং কালারমার ছাড়া ইউনিয়নের।
জানা যায়-বিগত সময়ে কালারমার ছাড়া বাজারে একটি পুলিশ ক্যাম্প ছিল। পুলিশের জনবল সংকট দেখিয়ে বেশ কয়েকবছর আগে ক্যাম্পটি ক্লোজ করে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে কালারমার ছড়া বেশ আশেপাশের এলাকা বেশ আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হয়। বিশেষ করে চালিয়াতলী-মাতারবাড়ি ও শাপলাপুর সড়কে ডাকাতি, মদ ইয়াবা বিক্রি বৃদ্ধি সহ কালারমার ছড়ায় সন্ত্রাসী গ্রুফের তৎফরতা বৃদ্ধি পেয়েছ। ফলে সাধারণ মানুষ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছে না। অন্যদিকে মহেশখালী থানা হতে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে পুলিশ এবং মাতারবাড়ি পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ এসে সড়কে পাহারা দিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে মাতারবাড়ি,শাপলাপুর ও কালারমার ছড়ার প্রায় ২ লক্ষ সাধারণ মানুষের দাবি উঠেছে চালিয়াতলীতে একটি ক্যাম্প করার।
মাতারবাড়ির বাসিন্দা কায়েম জানান- একটু রাত হলেই চালিয়াতলী-মাতারবাড়ি সড়কে ডাকাতির শিকার হতে হয়। এর থেকে নিরাপদে চলাফেরা করতে চালিয়াতলী একটি পুলিশ ক্যাম্পের খুবই প্রয়োজন।
কালারমার ছড়া এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবাস উদ্দিন বলেন- চালিয়াতলী তিন ইউনিয়নের প্রবেশমুখ হওয়ায় উক্ত এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপিত হলে ৩ ইউনিয়নের মানুষ নিরাপত্তা পাবে। তাই অবিলম্বে চলিয়াতলিতে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হোক।
কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওসমান গণি জানান-গভীর সমুদ্র বন্দর এবং কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের যাতায়াত সড়ক শাপলাপুর ও কালারমার ছড়া ইউনিয়নের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১নং ওয়ার্ডের চালিয়াতলীতে একটি পুলিশ ক্যাম্প হলে ৩ ইউনিয়নের মানুষ নিরাপত্তা পেত। আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ চালিয়াতলীতে একটি পুলিশক্যাম্প স্থাপন করা হউক।