Advertisement


ছোট মহেশখালীতে বন বিভাগ ও ইউপি চেয়ারম্যান এর পরস্পর বিরোধী অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক।। মহেশখালীতে মুদিরছড়া বিটের নাককাটা পাহাড়ী জিরিতে বন বিভাগের ২০২২-২৩ অর্থ বছরে লাগানো সুফল প্রকল্পের আগাছা পরিষ্কার করার সময়  ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়ান সিকদারসহ কয়েকজন মিলে বনকর্মীদের গালিগালাজ করে, হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে বন বিভাগ।

অপরদিকে বনকর্মীরা দরিদ্র ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ছনখোলা কেটে দিয়ে, পানের বরজ ভেঙে ঘরবাড়ি উচ্ছেদসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় বিষয়টিকে বন বিভাগ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাচ্ছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান রিয়ান সিকদার। তিনিও আরও জানান- বনকর্মীদের টাকা দিলে পাহাড়ে সবকিছু করা যায় আর টাকা না দিলে হয়রানিসহ  মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়। আমি স্থানীয়দের অভিযোগের পেক্ষিতে তাদেরকে অনুরোধ করেছি বিষয়টি এমপি মহোদয়, অন্যান্য চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।

৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার  দুপুর ১টার দিকে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মুদিরছড়া বিটের নাককাটা জিরিতে এঘটনা ঘটে।

বনকর্মী মোঃ রাসেল মিয়া জানান- মুদির ছড়া বিটের আওয়াতাধীন সুফল প্রকল্পে আগাছা পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়ান সিকদারসহ কয়েকজন এসে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিয়ে সরকারি বন বিভাগের কাজ বন্ধ করে দেন।আমরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে- মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী জানান- জনগণের অসুবিধা হয় এমন কাজ করা যাবে না বলে চেয়ারম্যান সরাসরি সরকারি কাজে বাঁধা দেন। আমরা বিষয়টি এমপি মহোদয়, প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। পরবর্তী সরকারি কাজে বাঁধা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ও জানান।

স্থানীয়দের অভিযোগ- বন বিভাগ বিনা উস্কানিতে স্থানীয় দরিদ্র লোকজনের দীর্ঘ দিনের দখলে থাকা জামিতে গিয়ে অহেতুক বাড়াবাড়ি করে চলছে। এ নিয়ে বিগত সময় স্থানীয়দের সাথে বন বিভাগের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। তবে বন কর্মীদের নিয়মিত ঘুষ ও মাসোহারা দিলেই কোনো প্রকার সমস্যা করে না বলে স্থানীয়দের দাবি। ঘুষ ও মাসোহারা আদায়ের কৌশল হিসেবে বন বিভাগ এসব করে বলে স্থানীয়রা জানান।