আজ বুধবার দিবাগত রাত শোয়া ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার এ আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকার সর্বস্তরে নেমে আসে শোকের ছায়া।
ওমর ফারুক কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ফকিরাঘোনা এলাকার আবুল কালামের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। সে কালারমার ছড়া মঈনুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়- গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়িতে পড়া শেষ করে তীব্র গরম সইতে না পেরে বাড়ির বাইরে ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করছিলো। এসময় দৌঁড়াদৌড়ি করতে গিয়ে রান্নাঘরের পাশে বাড়ির উঠানে বসানো লাকড়ির চুলার পাশে গিয়ে পড়ে শিশু ফারুক। এ সময় চুলার পাশেই ছিলো কেরোসিন ভর্তি বোতল। শিশুটি দৌঁড়ে গিয়ে ওখানে পড়ার সাথেসাথেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেরোসিন ছিটকে পড়ে ফারুকের শরিরের উপর। মুহূর্তেই উত্তপ্ত চুলা হতে আগুন লোগে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ফরিকের শরীর । এ সময় পরিবারের লোকজন পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরইমধ্যে ঝলসে যায় তার শরীর। পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে দ্রুত চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্ন ইউনিটে টানা ৬ দিন চিকিৎসার পর গেলো রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশু ওমর ফারুক।
এদিকে শিশুটির মৃত্যুর খবর এলাকায় জানাজানি হলে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।