প্রকাশিত হলো গেজেট, প্রধান উপদেষ্টা/প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে গঠিত হবে বোর্ড
বিশেষ সংবাদদাতা।। বাংলাদেশ সরকার মহেশখালী উপকূলীয় অঞ্চলকে পরিকল্পিতভাবে শিল্প, বিদ্যুৎ এবং বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থলে রূপান্তরের লক্ষ্যে গঠন করেছে “মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” (Maheshkhali Integrated Development Authority – MIDA)। এ-সংক্রান্ত সরকারি গেজেট প্রকাশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৩ জুলাই) প্রকাশিত এই গেজেটে প্রধান।উপদেষ্টা বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে- মিডা মহেশখালী অঞ্চলে পরিকল্পিত শিল্প স্থাপন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন, পরিবহন, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোর উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করবে। এ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় মহেশখালীতেই অবস্থিত থাকবে। বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বা সমমানের কর্মকর্তা। এছাড়া পরিকল্পনা, বিদ্যুৎ, ভূমি, পরিবেশ, অর্থ, শিল্প, স্থানীয় সরকারসহ মোট ১১টি মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধি এই বোর্ডে সদস্য হিসেবে থাকবেন।
জানা গেছে- বর্তমানে মহেশখালীতে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, এলএনজি টার্মিনাল, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও অন্যান্য বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এসব প্রকল্প সমন্বিতভাবে পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা থেকে এ কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী- মিডা’র মূল দায়িত্বের মধ্যে থাকবে- পরিকল্পিত নগরায়ণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, সড়ক ও যোগাযোগব্যবস্থার আধুনিকায়ন, শিল্প ও জ্বালানি অবকাঠামোর উন্নয়ন ইত্যাদি।
এর আগে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
১০ জুলাই রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এ কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম মহেশখালীকে একটি উন্নত, টেকসই ও পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলে রূপান্তরের পথে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।