স্থানীয় সুত্রের দাবি, মহেশখালী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশরফা জান্নত, ধলঘাটা ইউনিয়নের মহিলা আ.লীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য মিরাজু বেগম, শাপলাপুর ইউনিয়ন মহিলা আ.লীগ সভাপতি মনোয়ারা কাজল এবং সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা খানম দিলু নিয়মিত গোপন সভা, প্রভাব বিস্তার ও তদবিরমূলক কাজে লিপ্ত রয়েছেন।
বিশেষ করে ধলঘাটা ইউনিয়নের মিরাজু বেগমের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি নিয়মিত উপজেলা পরিষদ ও থানা কার্যালয়ে ঘুরে বেড়িয়ে তদবির করছেন।
স্থানীয়দের মতে, তার এই তৎপরতা সরকার ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল।
অন্যদিকে শাপলাপুর ইউনিয়নের মহিলা আ.লীগ নেত্রী দিলরুবা খানম দিলুর ‘গোপন’ সক্রিয়তা এখন যেন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। লাল, কালো কিংবা নীল বোরকার আড়ালে প্রতিদিন সকালে তিনি হাজির হন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। ঘন ঘন তার এই উপস্থিতি প্রশাসনিক অঙ্গনেও নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের প্রশ্ন- যখন দলের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ অবস্থানে নিষ্ক্রিয়, তখন মহেশখালীতে কেন এই ব্যতিক্রম?
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সচেতন মহল মনে করছেন, ‘মহিলা’ পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে এসব নেত্রীদের তৎপরতা পুরো অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। প্রশাসনের উচিত, সরকারের নির্দেশনার আলোকে সমানভাবে সব স্তরের নেতাকর্মীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা।