Advertisement


কুতুবজোমে পুড়ল বাড়ি , বিশাল ক্ষতি

পল্লী বিদ্যুতের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী

জামাল জাহেদ 
মহেশখালীর কুতুবজোম ঘটিভাঙ্গা এলাকায় বিদ্যুতের সর্ট-সার্কিট থেকে আগুন লেগে ৩ টি বাড়ি পুড়ে প্রায় ছাই হয়েগেছেএতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে অন্তত: ১০ লাখ টাকামহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জরুরী সহয়তা প্রদান করেছেআজ এসব পরিবারে নগদ টাকা ও টিন প্রদান করা হবে

সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে বিদ্যুতের সর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়মুর্হুতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৩ টি বাড়ি সর্ম্পূণ পুড়ে যায়স্থানীয় ইউপি মেম্বার নুরুল আমিন খোকা জানান কুতুবজোম ঘটিভাঙ্গা পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত হাজী কাসেম আলীর সন্তান সফিউল আলমের বাড়িতে আগুন ধরে যায়মুর্হুতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তার ভাই মোহাম্মদ শরীফ ও পুত্র মোহাম্মদ মোবারকের বাড়িতেবহু কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা এসব বাড়িতে ছিল ট্রলারের মূল্যবান জাল, কাঠ, আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন মালামালছিল স্বর্ণ ও নগদ টাকাখানিকটা দুর্গম হওয়ায় এখানে ফায়ার সার্ভিসের কোন ইউনিট প্রবেশ করার সুযোগ ছিলনাস্থানীয়দের দীর্ঘ প্রচেষ্টার কারণে সমগ্র গ্রাম অগ্নিকা- থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছেপরে খবর পেয়ে দ্রুত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালামের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনএসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন, ইউপি মেম্বার নুরুল আমিন খোকা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক রবিউল আলম উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মহেশখালীর সব খবর’র টিম লিডার। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তাৎক্ষণিক সহয়তার ঘোষণা দেনআজ তাদেরকে নগদ টাকা ও টিন দেওয়া হবে বলে জানান তিনিস্থানীয় বাসিন্দারা জানান বিদ্যুতের আগুনের কারণে মানুষ প্রথমে আগুন নেভাতে যাওয়ার সাহস করেনিএসময় বিদ্যুৎ অফিসে বার বার যোগাযোগ করেও কেউ ফোন রিসিভ করেনিউপজেলা নির্বাহী অফিসারও জানিয়েছেন খবর পেয়ে দ্রুত বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। 

এদিকে এঘটনার পর পল্লী বিদ্যুতের প্রতি সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন জানান মোটামোটি বিত্তশালি পরিবার ছিল এটিআগুনে মুর্হুতের মধ্যে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে