Advertisement


রোহিঙ্গা শহীদ নূর মোস্তফার বাবাসহ মনোনয়ন জমা দিলেন এনসিপি নেতা মহেশখালীর সুজা


সবখবর ডেস্ক।।
জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত একমাত্র রোহিঙ্গা শহীদ নূর মোস্তফার বাবা শফিউল আলমকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সুজা উদ্দিন। 

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী ও কুতুবদিয়া) আসন থেকে এনসিপির হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে মনোনয়ন জমা দেন তিনি।

সুজা চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি এনসিপির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সেলের প্রধান হিসেবেও দায়িত্বরত আছেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় সুজা বলেন, শহীদ নুরুল মোস্তফার বাবার পূর্ব পুরুষ রোহিঙ্গা, মিয়ানমার মিলিটারি নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে চলে আসেন। সে ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর জন্য প্রাণ দিয়েছে কিন্তু স্বীকৃতি পায়নি।

সুজা আরো বলেন, 'অন্যান্য শহীদ পরিবারের খোঁজ খবর সরকার রাখলেও রাখেনি এই শহীদ পরিবারের। কক্সবাজার জেলা এনসিপির পক্ষ থেকে শহীদ নুরুল মোস্তফার কবরের স্মৃতি ফলক ও নামকরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে আমরা খবর নিচ্ছি কেনো তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো না?'

এনসিপি ও সুজার প্রতি নিয়মিত শহীদ নুর মোস্তফার পরিবারের খোঁজখবর রাখায় শহীদ পিতা শফিউল আলম কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে আশ্রিত এবং দেশটির মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ, আমার ছেলে জীবন দিয়ে তার প্রতিদান দিয়েছে। আমার জন্ম মিয়ানমারে হলেও নুর মোস্তফা এদেশের আলো বাতাসে বড় হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ এর ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের দিন কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন নূর মোস্তফা। পরদিন দুপুরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নূর মোস্তফার পরিবার ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর ঈদগাঁওতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন বাংলাদেশে হলেও নূর মোস্তফার মা–বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তার নাম জুলাই শহীদের রাষ্ট্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং তার পরিবার কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা সহায়তা পায়নি বলে জানা গেছে।