Advertisement


মাতারবাড়ি সড়কে নতুন ভাঙন, দেখার কেউ নেই!


এ.এম হোবাইব সজীব ।।

মাঝখান থেকে সড়কের এক কিলোমিটার মতো বিলীন। তাতে এমপি আশেক উল্লাহ’র রফিকের সহযোগিতায় স্থানিয় আওয়ামীলীগ নেতারা ভাঙা সড়কে বস্তা ফেলে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছিল। আরও কিছু দূর এগিয়ে দেখা যায় সড়কের অর্ধেক অংশ নেই। আবার দেখলে মনে হবে যেন এটি একটি সড়ক নয় মৃত্যুকোপ। অসুস্থ রোগী ছাড়া ও ভাল মানুষ পর্যন্ত হাটাঁ যেন দায় এ সড়ক দিয়ে। এক পাশ দিয়ে কোনো রকম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন। এই প্রতিদিনের চিত্র কক্সবাজারের মহেশখালীর চালিয়াতলী-মাতারবাড়ি সংযোগ সড়কের । এ সড়কের আধা কিলোমিটার অংশ চার মাসের বেশি সময় হলেও সংস্কার হয়নি। ফলে ভাঙা সড়কে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।
সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখানে মানুষ গুলো চাই যোগাযোগ ব্যবস্থার অমূল্য পরিবর্তন ও টেকসই বেড়িবাঁধ! কিন্তু হচ্ছেনা! অসংখ্যা খানাখন্দে ভরা চালিয়াতলী-মাতারবাড়ি সংযোগ সড়কে দীর্ঘদিন থেকে অনেকটা জোঁড়াতালি দিয়ে কোন রকম যানবাহন চলাচল করলেও গত ২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে সৃষ্ট জলোচ্ছ্রসে সড়কটি ভেঙ্গে যায়। সড়কের চারটি অংশে বড় ধরনের ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে মাতারবাড়ি ধলঘাটার মানুষ। এখনো জোয়ার ভাটা চলতে থাকায় ক্রমেই বাড়ছে ভাঙ্গনের পরিধি। সোমবার ফের নতুন করে ভাঙল সড়কটি। মেরামতের ব্যবস্থাপনা নিলে আগামীতে বাড়বে মাত্রাতিরিক্ত নির্মান ব্যয় এমনই জানান মাতারবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার মো. উল্লাহ বি,এ।
সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, চার কিলোমিটার সড়কের এক কিলোমিটার সড়ক জুড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় হেঁটে যেতে হচ্ছে। স্থানিয় লোকজন জানান, মাতারবাড়ী চেয়ারম্যান মাষ্টার মোঃ উল্লাহ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বসে নেই যেখানে ইউনিয়নবাসী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সে খানে মানুষের কষ্ট লাগবে প্রাণ প্রণে ছুটে যাচ্ছেন তিনি। এবং সড়ক সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মাতারবাড়ী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শত্তকত ইকবাল মুরাদ ও শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজী মানিক জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্রসে ব্যাপক ক্ষতি হয় মাতারবাড়ী। এখনোও ঘুরে দাঁড়াতে পারি নাই অনেক অসহায় পরিবার। ঘুমানোর জন্য নেই কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা। কিন্তু এ নিয়ে খুব বেশি আক্ষেপ নেই তাঁদের। সবার আগে স্থানিয় বেড়িবাঁধ ও সড়ক চান তারা।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আবু হায়দার বলেন, উপজেলা সদরসহ চকরিয়ার বদরখালী যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সড়কটি। গত ঈদুল ফিতরের সময় ঘরমূখী মানুষের দুর্ভোগ লাগাবে আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় মাতারবাড়ী ইউনিয় আ.লীগের উদ্যেগে ভাঙা সড়কটি যে মেরামত হয়েছিল সে টুকু দিয়ে কোন মতো পথচারী লোকজন চলাচল করে আসতেছে । অথচ দুই মাসের ও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও সড়ক সংস্কারের কোনে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছেনা। আবার মাঝখানে ভেঙ্গে গিয়ে পানি চলাচল করতেছে বলেও জানান তিনি। মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. আবুল কালাম বলেন, কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিš‘ সড়কটির ভাঙার পরিধি বড় হওয়ায় বরাদ্দ বেশি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ হাতে আসলে শিঘ্রই উক্ত সড়কের কাজ শুরু হবে।
চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কের সংস্কারে বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার মো. উল্লাহ বি,এ প্রিয় চট্টগ্রামকে বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হাতে আসার পথে বলে তারা তাকে জানিয়েছেন। শিগগিরই ভাঙা বাঁধ মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তাকে আশ্বাস্তও করেছেন।

।সম্পাদিত নয়।