Advertisement


শুরু হলো অগ্নিঝরা মার্চ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
০১ মার্চ, ২০১৭, বুধবার। ১৭ ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
বাঙালির জীবনে মার্চ
শুরু হলো বাঙালির স্বাধীনতা ও গৌরবগাঁথার মার্চ মাস। এটি অগ্নিঝরা ইতিহাস, বিষাদ ও বেদনার মাস।
এই মাসের ২৫ তারিখ থেকে লেখা শুরু হয়েছিল এক অমর মহাকাব্য, যার নাম বাংলাদেশ। বাঙালির জীবনে ভাষা আন্দোলনের স্মারক মাস ফেব্রুয়ারির পর মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত লড়াই শুরু হয় এই মার্চেই।
এই মাসেই বাঙালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। উত্তাল একাত্তরে পুরো মার্চ মাস জুড়ে বাঙালির চোখে ছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন।
আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১ মার্চ, ১৯৭১ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের সাধারণ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। মুহূর্তে গর্জে উঠে পুরো দেশ। পূর্ব বাংলার ছাত্র সমাজ ও সাধারণ মানুষ স্লোগান তুলে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’।
মার্চ মাসেই বাঙ্গালি জাতি তার চেতনাকে নতুন করে শাণিত করে। নতুন শপথে বলীয়ান হয়। অত্যাচার, নিপীড়ন আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্মারক মাস হিসেবে মার্চ প্রতিবারই আমাদের নতুন করে পথ দেখায়। আমরা আজকের দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই বীর শহীদদের, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের মূল্যবান জীবন দান করে প্রতিরোধ সংগ্রামে প্রেরণা যুগিয়েছিলেন।
জন্ম
১৯৪০- শাফাত জামিল বীর বিক্রম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
১৬১১- জন পেল, ইংরেজ বীজগণিতবিদ, জ্যামিতিজ্ঞ এবং জোতির্বিদ।
১৮৬১- অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়, বাঙালি ইতিহাসবিদ।
১৮৯২- রিয়ুনোসুকি অকুতাগাওয়া, জাপানের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও ছোট গল্পের জনক।
১৯৩১- লামবের্তো দিনি, ইতালীয় রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী।
১৯৫৬- ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট, লিথুয়ানিয়ার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রপতি।
মৃত্যু
১৯১১- ইয়াকোবুস হেনরিকুস ফান্ট হফ, ডাচ জৈব রসায়নবিদ, রসায়নে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
১৯২৪- গোপীনাথ সাহা, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বাঙালি বিপ্লবী।
১৯৪৩- আলেকজেন্ডার ইরসিন, ফ্রান্স-সুইস চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিওলজিস্ট এবং ইরসিনিয়া পেস্টিস-এর আবিস্কারক।
১৯৮৯- বসন্তদাদা পাতিল, মহারাষ্ট্রের ৬ষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী এবং ১০ম গভর্নর।
১৯৯৫- জর্জেস জে এফ কোহলার, জার্মান জীববিজ্ঞানী, চিকিত্সাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।