Advertisement


মহেশখালীতে নিয়ম না মেনে গ্রামের পাশে ঘটিভাঙ্গা খাল থেকে বালি উত্তোলন: এমপির হস্তক্ষেপ কামনা ::

মহেশখালীতে কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামের পাশে খাল থেকে নিয়ম না মেনে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে পরিবেশগত ভাবে চরম হুমকীতে পড়েছে স্থানীয় গ্রামবাসী। এ অবস্থা চলতে থাকলে দ্রুত সময়ে পাশের গ্রাম ধ্বসের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। তারা শুরু থেকে এ ধরণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আসলেও কার্যতঃ কিছুই হচ্ছে না ফলে তারা গতকাল বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত আবেদনে তারা এলাকায় সরকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আবেদনে বলা হয় -মহেশখালীর ছোট মহেশখালী, উত্তর নলবিলা, ঘটিভাঙ্গা, ঘটিভাঙ্গা, সোনাদিয়া, কুতুবজোম ও ধলঘাটায় ৪টি অর্থনৈতিক জোন করা হচ্ছে। এ আলোকে ঘটিভাঙ্গায় হচ্ছে কক্সবাজার ফ্রি ট্রেড জোন। এছাড়া বেজা কর্তৃপক্ষ সোনাদিয়া ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে। তবে এখানে কেউ বেজার কাছে ভূল তথ্য দিয়ে ঘটিভাঙ্গা খালের দক্ষিণ পাশে বিস্তর এলাকায় প্যারাবন প্যারাবন কেটে ভরাট করছে। সরকারি তথ্য মতে হামিদার দিয়া মৌজায় ৮৪২.৮১ একর, কুতুবজোম মৌজায় ২২৮৩.৩৩ একর, ঘটিভাঙ্গা মৌজায় ৮৬৫৮.৬৪ একর ও বিএস জরিপ বিহীন ১৪৮৪.৪৭ একর জমি চরভরাট করার লক্ষে কাজ শুরু করে। এতে এলাকাবাসীর কোন আপত্তি নেই। কিন্তু গ্রামের ১০০ গজের মধ্যে সীমানা সংলগ্ন খাল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করায় এলাকাবাসী মর্মাহত হয়ে পড়েছে। এতে ঘটিভাঙ্গা গ্রামের ৩০ হাজারেরও অধিক মানুষ ভিটেবাড়ি হারা হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। এতে এ গ্রামটি মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। এতে কারও মাথা গোজার ঠাই থাকবে না। গ্রামবাসীর পক্ষে স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, ইউপি সদস্য নুরুল আমিন খোকা ও কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাঃ সম্পাদক রবিউল আলম স্বাক্ষারিত এ আবেদনে স্থানীয়দের পক্ষে বিভিন্ন মানবিক দিক তুলে ধরে। দ্রুত এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের দাবি জানানো হয়। তারা বলেন স্থানীয় কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি সাব ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে সম্পূর্ণ নিয়ম না মেনে ড্রেজার দিয়ে অব্যহত ভাবে বালি তুলে গ্রামবাসীকে হুমকীর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারা এ আবেদনের অনুলিপি এলাকার এমপি আশেক উল্লাহ রফিকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দেন।