আহতরা হলো, ওই এলাকার আবু তাহের স্ত্রী হোসনে আরা ও তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন প্রতিবেশী শাহাজাহান। এ ঘটনায় নাছির উদ্দীন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মহেশখালী থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানায়, গত ৬ ই জুন (শুক্রবার) দুপুরে রাজুয়ারঘোনা এলাকার আবু তাহের ও মৃত করিম গং এর পুত্রের দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে মৃত করিম দাদ এর পুত্র মোঃ ইয়াছিন, আজিজুল হক, নাছির, মুছা ও আমেনা খাতুন'সহ সংঘবদ্ধ আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের জমিতে প্রবেশ করে বেড়া-খুঁটি স্থাপন শুরু করে। বাঁধ দিলে আবু তাহের এর স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুত্ব আহত করে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুত্ব আহত হন শাহাজানও। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, হামলার সময় হোসনে আরাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কুপিয়েছে, পূর্বে শ্বাসরোধের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি করা হয়। এছাড়া, আসামিরা বাড়ির টিনের বেড়া ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন করে এবং ঘরে ঢুকে লুটপাট চালায়।
পরে তাদের উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে হোসনে আরা'কে পাঠানো হয় কক্সবাজার, সেখান থেকে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত হোসনে আরা বলেন, বসত ভিটা জোরপূর্বক জমি দখলে নিতে এ দ্বন্দ্ব। এরা ওই জমি তার দাবি করে আসছে। এ নিয়ে সালিশ হওয়ার কথাও রয়েছে। কিন্তু তার আগেই হামলা করে তারা। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার জানান, আহতদের মধ্যে হোসনে আরার মাথায় গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, ঘটনাটি খুবই দু:খ জনক।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
