আবু বক্কর
জানাগেছে, দারিদ্র বিমোচন কর্মসংস্থান,পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষনার্থে ভূমিহীন দরিদ্র জনগনের পূর্ণবাসন ও দারিদ্রতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ফরেষ্ট বিভাগের সাথে স্থানিয় উপকারভোগিদের অংশী দারিত্বের ভিত্তিতে চুক্তি নামার অনুচ্ছেদে ঝাউ বাগানটি দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছেন বিশ্বব্যাংক ।
রক্ষণাবেক্ষণ করা উপকারভোগি কাশেম হিরু বলেন, অর্থনৈতিক জোন বেজা গ্রুফ থেকে টিকে গ্রুফ লিজ নিয়ে অত্র ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী এলাকায় মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে । তাদের ইন্ধনে এ গাছ গুলি কেটে সাবাড় করা হচ্ছে । এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতিপূরণ দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্টদের কাছে।
জানাযায়, বিভিন্ন প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দ্বীপবাসিকে রক্ষাকবচ হিসেবে ভূমিকা পালন করে সৃজিত ঝাউ বাগানটি । সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ধলঘাটা হাঁসের চর এলাকায় ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার গাছ কাটা পড়েছে । এসব স্থানে পড়ে আছে কাটা গাছের গোড়া। যার আনুমানিক মূল্যে অর্ধকোটি টাকা মত হবে। সূত্র জানায়, ঝাউ বাগানটি টেকসই করতে ২০১৪ সালে বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে হাঁসের চরে হাজার হাজার গাছ রোপণ করা হয়। স্থানিয় বাসিন্দারা বলেন, চরের সবুজ শ্যামল গাছগুলো দিন দিন বড় হতে থাকলে দুর্বৃত্তদের নজরে পড়ে। এখন রাতের অন্ধকারে চরে সৃজিত কোনো না কোনো স্থানে প্রতিদিন গাছ কাটা হচ্ছে। অথচ এ ব্যাপারে কারও মাথাব্যথা নেই।
এবিষয়ে জানতে উপকূলীয় বন বিভাগের মহেশখালী গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।
ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ধলঘাটা হাঁসের চর ঝাউ বাগানের জায়গটি অধিকগ্রহণে পড়ছে মনে করে ক্ষতিপুরন পাওয়ার আশায় উপকারভোগিরা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে রাতে আঁধারে ।