Advertisement


করোনায় থামাতে পারেনি কালারমার ছড়ার উন্নয়ন

কাব্য সৌরভ, কালারমার ছড়া থেকে ।
বিশ্বের প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে স্তম্ভিত হয়ে আছে পুরো দেশ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষ নিজেদের ব্যবসায়িক ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। সীমিত আকারে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশনা পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় থেমে নেই মহেশখালীর কালারমার ছড়ার উন্নয়ন।

সূত্র জানায় -মহেশখালীতে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের জন্য নিম্নাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চল গুলোতে ব্যাপক সমস্যা হয়ে থাকে। পাহাড়ি ঢলের পানি চলাচলের ড্রেন সুবিধা না থাকলে অনেক সময় প্রধান সড়ক তলিয়ে যায়। এতে মহেশখালীর প্রধানসড়ক হয়ে যাতায়াত করা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের কষ্টের সীমা থাকেনা। তাই চলতি বর্ষা মৌসুমে যাতে কালারমার ছড়ার হয়ে মহেশখালীর প্রধান সড়কে কোনো খানাখন্দের সৃষ্টি না হয়। এতে কালারমার ছড়ার মানুষদের যাতে কোনো রকমের যাতায়াতের অসুবিধা না হয় তারই পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার পাশাপাশি নিজ ইউনিয়নে উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড চলমান রেখেছে কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদ।

পরিষদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান -সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে আমি আমার ইউনিয়নে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজ অব্যাহত রেখেছি। চলমান বর্ষায় যাতে প্রধান সড়কে কোনো খানাখন্দের সৃষ্টি না হয় -সে বিবেচনায় ড্রেন সুবিধা নিশ্চিত করছি। তিনি আরো জানান -কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড়ের মূল সড়কে ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে। একই ভাবে ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউনুছখালী মাইজপাড়ার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজ চলমান রয়েছে। খুব শীঘ্রই এইসব ওয়ার্ড এলাকার কাজ শেষ করে বাকি ওয়ার্ডগুলোতে কাজ শুরু করবো।

শুক্রবার (৩জুলাই ২০২০) কালারমার ছাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড নোনাছড়ির উন্নয়ন মূলক কাজের তদারকি ও পরিদর্শন করতে গিয়ে মহেশখালী সব খবর প্রতিবেদককে এইসব কথা বলেন কালারমার ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ।