Advertisement


উত্তর মহেশখালীতে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, জমিদান


স্টাফ রিপোর্টার।। অবশেষে কালারমার ছড়া তথা উত্তর মহেশখালীর মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণেরদাবি পূরণ হতে চলছে। কালারমার ছড়ায় হচ্ছে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। শিগগিরই ক্যাম্পের জন্য গড়ে তালা হবে বহুতল ভবন। স্থানীয় ভাবে ক্যাম্পের জন্য জমি দান করা হয়েছে। আজ এ জমির রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। আর ক্যাম্পের জন্য জমিদান করেছেন কালারমার ছড়ার কৃতিসন্তান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহীম। -কালারমার ছড়ার চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ জমির উপর ক্যাম্পের জন্য একটি ৫ তলা ভবন উঠবে বলে জানান তিনি। 

সূত্র জানায় -ভূমি গঠনের দিক থেকে মহেশখালী একটি উত্তর-দক্ষিণ লম্বালম্বি দ্বীপ উপজেলা। মহেশখালী থানাসহ মহেশখালীর সকল সরকারি দপ্তর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মহেশখালী দক্ষিণ তথা পৌর সদরে অবস্থিত। এ অবস্থায় মহেশখালীর উত্তর অংশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিগত বেশ কয়েক বছর আগে কালারমার ছড়ায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এ ক্যাম্প থেকেই মূলতঃ এলাকার ওই অংশের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখভাল করা হতো মহেশখালী থানার আওতাধীন থেকে। বিভিন্ন সময় এ ক্যাম্পটিকে একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প হিসেবে রূপ দেওয়ার জন্য স্থানীয় শান্তিপ্রিয় বাসিন্দাদের জোর দাবি থাকলেও তা এতোদিন আলোরমুখ দেখেনি। প্রথমদিকে মানুষের এ দাবি গুরুত্ব না পেলেও শেষ পর্যন্ত এখানে একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার জন্য উদ্যোগী হয় পুলিশ বিভাগ। কিন্তু তাতেও বিষয়টি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছিল না -ক্যাম্পের নামে স্থায়ী জমির অভাবে। শেষ পর্যন্ত জমির এ সংকটটা পূরণ হলো সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহীম এর জমিদানের মধ্যদিয়ে। 

স্থানীয় সূত্র জানায় -মহেশখালীতে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ পরিবারের সন্তান কালারমার ছড়ার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওসমান গণী প্রথম এখানে একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি তুলেন এবং ক্যাম্পের জন্য স্থায়ী জায়গা ও ঘর নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালান। বিষয়টি নিয়ে তখন তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদনও করেন। এরই মধ্যে তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হলে বিষয়টি আর বেশিদূর এগোয়নি। পরে বিষয়টি বাস্তবায়নে হাত দেন শহীদ পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহীম। পরে মি. ইব্রাহীম এ নিয়ে আবেদন করেন এবং তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।  

চেয়ারম্যান তারেক জানান -ক্যাম্পের জন্য জমিদাতা হিসেবে নিজ জমি থেকে ২০ শতক জমি দিয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহীম। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পাশে এ জমির অবস্থান। জমিটি আজ রেজিস্ট্রি হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষে জমির কবলা গ্রহণ করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার। খুব দ্রুত সময়ে এখানে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের জন্য একটি ৫ তলা ভবন উঠবে বলেও জানান তিনি।