Advertisement


সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দেশ

ঢাকা: সিরিয়া থেকে হঠাৎ নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি দাবি করেছেন, যে লক্ষ্যে ছয় মাসের সামরিক অভিযানে নেমেছিল রাশিয়া, সে লক্ষ্যের অনেকখানিই অর্জন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকেই কার্যকর হতে যাওয়া এই সিদ্ধান্তের খবর সোমবার (১৪ মার্চ) ফোনালাপ করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে জানিয়ে দেন পুতিন। তার আগে রুশ প্রেসিডেন্ট তার বাসভবন ক্রেমলিনে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ফোনালাপে পুতিন তার মিত্র আসাদকে জানান, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দামেস্কের পাশে থাকতে এবং জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দমনে যে সৈন্য গিয়েছিল সিরিয়ায়, তারা মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে ফিরে যাবে। তবে, কতদিনে প্রত্যাহার শেষ হবে, সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিরিয়ার ভূ-খণ্ড থেকে প্রত্যাহার করা হলেও দেশটির তারতুস বন্দর ও লাটাকিয়া প্রদেশের হিমেইমিম বিমান ঘাঁটিতে থেকে যাবে রুশ সৈন্য। সংবাদমাধ্যম বলছে, জেনেভায় জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় নতুন করে সিরিয়া বিষয়ক শান্তি আলোচনাকে সামনে রেখে পুতিন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসাদের বিদ্রোহীরা এই ভেবে খুশি হলেও কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার আর ভেঙে পড়বে না নিশ্চিত ধরেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিন সূত্রের খবর, সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধ‍ান্ত নেওয়ার পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্ট তার কূটনেতিক সহকর্মীদের সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সমাধানে নিজেদের প্রচেষ্টা আরও দৃঢ় করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, পুতিনের এ হঠাৎ ও অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তে চমকে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কূটনীতিকরা। জেনেভায় শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে যাওয়া এক কূটনীতিক বলেন, আমরা ব্যাপারটা শুনেছি। এখন পর্যবেক্ষণ করছি। দেখি কী ফল আসে। এটা আসলে পুতিন। তিনি এর আগে এমন ঘোষণা আরও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। কিছুদিন আগেও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থামাতে জেনেভায় শান্তি আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোয় অভিযান শুরু করলে ওই আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। এবার আবার শান্তি আলোচনা শুরু হচ্ছে। তার আগে সেনা প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দিল রাশিয়া।