Advertisement


হ্যাট্রিকের সামনে বাংলাদেশ

ঢাকা: প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘ডব্লিউএসআইএস অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’ এর জন্য মনোনীত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘একসেস টু ইনফরমেশন’ (এটুআই) এর চারটি উদ্যোগ। এবার পুরস্কার অর্জন করলে টানা তৃতীয়বার এ পুরস্কারের গৌরব অর্জন করবে বাংলাদেশ। তবে গত দু’বছরের মতো এবারও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভোটের লড়াই করতে হবে বাংলাদেশকে। যেকোনো ই-মেইল থেকে যে কেউ ভোট দিতে পারবেন বাংলাদেশকে। আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে। প্রত্যেককে অবশ্যই ১৮টি ক্যাটাগরিতে ভোট দিতে হবে। প্রথম ক্যাটাগরি থেকে পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেওয়া যাবে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মৌলিক ও জনকল্যামূলক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও এ সম্পর্কিত সেবা দানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে। চলতি বছরের ডব্লিউএসআইএস অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ -এর জন্য মনোনীত এটুআই’র চারটি মৌলিক উদ্ভাবনী উদ্যোগ হলো- ‘সেবা পদ্ধতি সহজিকরণ-এসপিএস’ ক্যাটাগরি-০৬, ‘পরিবেশ অধিদফতরের অনলাইন ছাড়পত্র’ ক্যাটাগরি-০৭, ‘শিক্ষক বাতায়ন’-ক্যাটাগরি-০৯ এবং ‘কৃষকের জানালা’-ক্যাটাগরি-১৩। ‘ডব্লিউএসআইএস (WSIS) অ্যাওয়ার্ড’ এ ভোট দিতে http://goo.gl/4fRVNh লিংকে গিয়ে ভোট অংশে ক্লিক করতে হবে। এছাড়া ভোট দেওয়ার নিয়মাবলী জানতে আগ্রহীরা https://goo.gl/ahMTJO এবং ভোট দেওয়ার পদ্ধতি (ভিডিও) দেখতে চাইলে https://goo.gl/OGO9Ff লিংকে ক্লিক করে দেখে নেওয়া যাবে। ভোট প্রদানে আগ্রহীরা প্রথম থেকে পঞ্চম ক্যাটাগরিতে ইচ্ছেমতো ভোট প্রদান শেষে ষষ্ঠ ক্যাটাগরিতে এসে SPS for Increased Transparency, Efficiency and Responsiveness-এ ও সপ্তম ক্যাটাগরিতে Development of the web based Environmental Clearance Certificate (ECC) Application System of the Department of Environment-এ ভোট দেবেন। এরপর অষ্টম ক্যাটাগরিতে ভোট প্রদান করে ফের নবম ক্যাটাগরিতে Teachers Portal for Empowerment-এ ভোট প্রদান করে করতে হবে। ঠিক একইভাবে দ্বাদশ ক্যাটাগরিতে ভোট দিয়ে ত্রয়োদশ ক্যাটাগরির Krishoker Janala (Farmer’s Window) -এ উদ্যোগটিকে ভোট প্রদান করতে হবে। বাকি ক্যাটাগরিগুলোতে অর্থাৎ ১৮তম ক্যাটাগরি পর্যন্ত ভোটররা পছন্দ অনুযায়ী ভোট প্রদান করতে পারবেন। ডব্লিউএসআইএস-২০১৬-এ প্রাথমিকভাবে মনোনীত এ চারটি উদ্যোগকে বাংলাদেশকে চূড়ান্ত বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন এটুআই’র জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদ্যোগের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লড়াই করে পর পর তিনবার এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য আমাদের ভোট দরকার। এবারের প্রতিযোগিতাটি আমাদের জন্য হ্যাট্রিক চান্স। চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হলে অবশ্যই এ অর্জন আমাদের জন্য গৌরবের হবে। এর আগে ২০১৪ সালে এটুআই’র ‘ডিজিটাল সেন্টার’ এবং ২০১৫ সালে ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ উদ্যোগ দু’টি ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার অর্জন করে।