Advertisement


চট্টগ্রাম থেকে ই-মেইলে পাওয়া

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত চট্টগ্রামের প্রথিতযশা সাংবাদিক

হেলাল হুমায়ুন জন্মস্থান সাতকানিয়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত


চট্টগ্রামে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট দৈনিক নয়াদিগন্তের চট্টগ্রাম ব্যুরোচীফ হেলাল হুমায়ুনের চারদফা নামাযে জানাযা শেষে জন্মস্থান সাতকানিয়ার উপজেলার চরতি ইউনিয়নে তালগাঁও গ্রামে পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্্রায় শায়িত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে তার অন্তিম ইচ্ছা অনুসারে স্থানীয় তুলাতলী হাই স্কুল মাঠে জানাযা শেষে পরিবারের সদস্যরা তার দাফন সম্পন্ন করেছেন। 

চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক,কলামিষ্ট ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হেলাল হুমায়ুন ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগে ৬০ বছর বয়সে গত রোববার বিকেলে নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে ইন্তিকাল করেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক,সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
১৯৫৬ সালের ৬ জুলাই সাতকানিয়ায় জন্ম নেওয়া সাংবাদিক হেলাল হুমায়ুন সমাজ সেবায় বহুমূখী অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে জেলা প্রশাসক থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে  পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। আল্ হেলাল আদর্শ ডিগ্রী কলেজ, তালগাঁও আল্ হেলাল  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল্ হেলাল মহিলা মাদরাসাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তিনি প্রতিষ্ঠাতা।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল সোমবার সকাল ১১টা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে হেলাল হুমায়ুনের কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায়। ১১টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম মেট্্েরাপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশসহ সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিকরা মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১১টা ১০ মিনিটে জানাজা শেষে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরআগে সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর চকবাজারের দেব পাহাড় এলাকায় দারুল উলুম মাদরাসার প্রধান মহাদ্দিস মাওলানা মকছুদ আহমদ প্রথম জানাযায় ইমামতি করেন। দ্বিতীয় জানাযা সকাল ১০টায় বায়তুশ শরফ মাদরাসা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন বায়তুশ শরফের পীর মাওলানা শাহ মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে তৃতীয় জানাযা শাহ আনিস মসজিদের খতিব মাওলানা জামাল উদ্দিনের ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরের পর কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্স থেকে তার লাশ নামিয়ে সাতকানিয়া তুলাতলি হাই স্কুল প্রাঙ্গণে রাখা হয়। সেখানে সকাল থেকে অপেক্ষায় থাকা চরতি, তালগাঁও এবং আশপাশের এলাকা থেকে শত শত মানুষ তার কফিনে শ্রদ্ধা জানান। পরে সাতকানিয়ার তুলাতলি হাইস্কুল মাঠে চতুর্থ জানাযা  বায়তুশ শরফ মাদরাসার অধ্যক্ষ ড.সাইয়্যেদ.মো. আবু নোমানের ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয়। শেষে গুণী এ সাংবাদিককে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মসজিদুল আবেদিনের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

চারটি জানাযায় বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের সাবেক মেয়র মনজুর আলম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন, হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দিন রুহি, নগর বিএনপির সেক্রেটারী আবুল হাসেম বক্কর, নগর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের চট্টগ্রাম নগর সভাপতি আব্দুর রহমান, সাবেক লায়ন গর্ভনর রফিক আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন, বিজিএমইএ-এর প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর জাফর সাদেক, উত্তর জেলা জামায়াত আমীর অধ্যক্ষ মো.আমীরুজ্জামান, মাওলানা মামুনুর রশীদ নূরী, মেট্্েরাপলিটন চেম্বারের পরিচালক এম এ আউয়াল, প্রবীণ বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, উপমহাদেশের প্রখ্যাত বংশিবাদক ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হক, ফারুক-ই-আজম বীর প্রতিক, হেফাজত ইসলামীর কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহারুল শাহ চৌধুরী, চাকসুর সাবেক জিএস আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, জাগপা সভাপতি আবু মোজাফফর মো.আনাস, লেবার পার্টির নগর সভাপতি আলাউদ্দিন আলী প্রমূখ।

সাংবাদিকদের মধ্যে জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক নয়াদিগন্তের ডেপুটি এডিটর (নিউজ) আযম মীর শাহীদুল আহসান, সিটি এডিটর তৌহিদুল ইসলাম, চিফ রিপোর্টার হারুন জামিল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সভাপতি মইনুদ্দিন কাদেরী শওকত, চট্টগ্রাম মেট্্েরাপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির সভাপতি ইসকান্দর আলী চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি (একাংশ) শহীদ উল আলম, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আবুল মনছুর, প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যুরো প্রধান সালাহউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মেট্্েরাপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামসুল হক হায়দারী, প্রেসক্লাব সেক্রেটারী মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারী মহাম্মদ আলী,  চট্টগ্রাম মেট্্েরাপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ রউফ, জনকণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মোয়াজ্জেমুল হক, যায়যায়দিনের ব্যুরো প্রধান হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ইনকিলাবের ব্যুরোচীফ শফিউল আলম, দিনকালের ব্যুরো প্রধান মহাবুব রশীদ,কর্ণফুলীর বার্তা সম্পাদক মামুনুর রশীদ, ডেইলি সানের ব্যুরোচীফ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সকালের খবরের ব্যুরোচীফ ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন শ্যামল, যুগান্তরের ব্যুরোচীফ শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার,দেশ টিভির ব্যুরো প্রধান আলমগীর সবুজ, বাংলাদেশ ফটোর্জালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম মঞ্জু, সেক্রেটারী মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ। ###