Advertisement


মহেশখালীর উন্নয়নে চা’ বিক্রেতাদের প্রয়োজন...


নাগরিক অভিমত



এম.এম রুবেল

ফেসবুকে হঠাৎ একটা খবরের প্রতি নজর পড়ল। খবরের শিরোনাম ছিল “তিনি চা বিক্রেতা, তিনিই কাউন্সিলর”। শিরোনামটা দেখে আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় খবরটা পড়া শুরু করলাম। মূল বিষয়টা ছিল ঠিক এই রকম, মির্জাপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রাজ্জাক ‍একটি চায়ের দোকান করে। তার আচার-আচরণ খুব শান্ত স্বভাবের। তার এলাকার নাগরিকদের যে কোন প্রয়োজনীয় কাজে তিনি পাশে থাকেন। এমনকি পৌর কার্যালয়ে এলাকার মানুষের প্রয়োজনে দোকান খোলা রেখে ছুটে যান। তার সাথে কথা বললে কোন ভাবেই বুঝা যাবেনা তিনি যে একজন কাউন্সিলর। নিজেকে অন্যের কাছে প্রকাশ না করলেও ঠিকই এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দুর্নীতিগ্রস্থ না হয়ে দোকানের ইনকাম ও বেতনেই চালাচ্ছে তার পরিবার। আসলে বর্তমান যুগে এমন জনপ্রতিনিধি খুঁজে পাওয়া অনেক কস্টসাধ্য ব্যাপার। আমাদের এখানে জনপ্রতিনিধি মানে বিরাট ব্যাপার। কোন একটা পদ পদবী পেলেই নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করে। খুব স্বল্প সময়ে নিজের অতীত ভূলে যায়। এমনকি অনেকে অতীত পরিচয় গোপন রাখতে চায়। কিন্তু কাউন্সিলর আবদুর রাজ্জাক জনপ্রতিনিধি হয়েও যেভাবে একজন সাধারণ চা দোকানীর মত সারাদিন চা বিক্রি করে পরিবারের ভরণ পোষন করছে তা প্রশংসার দাবী রাখে। যদি আমাদের জনপ্রতিনিধিগণের মন-মানসিকতা চা বিক্রেতা পৌর কাউন্সিলরের মতো হতো, তবে আজ স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পরেও যাতায়াতের একমাত্র জেটিঘাটের নাজুক অবস্থা এমন থাকতো না। পরিবর্তনের ছোয়া লেগে মহেশখালী দ্বীপাঞ্ছল অনেকদূর এগিয়ে যেতো। আসুন জনপ্রতিনিধির কর্মক্ষেত্র, বংশ মর্যাদা, আর্থিক অবস্থা, ক্ষমতা ইত্যাদি বিবেচনা না করে একজন সৎ, যোগ্য, চরিত্রবান জনপ্রতিনিধি আমরা তৈরী করি। তবে হয়তো আগামীতে আমরা মহেশখালীর উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারব।