মহেশখালীতে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ
প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তেইশ কোটি টাকা
আত্মসাতের অভিযোগে মামলায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং আইনজীবীসহ তিনজনকে
গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বর এলাকা থেকে ২
জনকে এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অপর একজনকে গ্রেপ্তার করা
হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম
দুদক-২ এর সহকারী পরিচালক অজয় কুমার সাহা।
গ্রেপ্তাররা হলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ
শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, কক্সবাজার জেলা জজ কোর্টের
আইনজীবী নূর মোহাম্মদ সিকদার, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সাবেক সার্ভেয়ার ও
বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বদলি হওয়া কর্মকর্তা ফখরুল
ইসলাম।
কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ২ আসামীকে কক্সবাজার সদর থানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
দুদক কর্মকর্তা অজয় বলেন, বিগত ২০১৪ সালে নভেম্বর মাসে মাতারবাড়ি
বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদান প্রদানে জমির
সৃজিত ভূঁয়া দলিল-দস্তাবেজ দেখিয়ে ২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এ
ঘটনায় মহেশখালীর মাতারবাড়ির বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম বাদি হয়ে ২৮
জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত
মামলাটি দুদককে তদন্ত করতে নিদের্শ দেন।
তিনি বলেন, মামলায় দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তার আসামিদের
বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। সোমবার অভিযান চালিয়ে
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে এবং অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান
রয়েছে।
অভিযান অব্যাহত থাকায় মামলা ও অভিযানের ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেননি।