Advertisement


মহেশখালীতে লেখক উৎসব ও বই মেলায় অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ

ছবি: বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের কম্পোট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল বিশিষ্ট সাহিত্যিক মাসুদ আহমেদ।

আত্মতৃপ্তি ও মূল্যবোধ গঠনের জন্য সাহিত্য চর্চা ও বই পাঠের বিকল্প নেই

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গতকাল (২২ ডিসেম্বর) থেকে মহেশখালীতে দুই দিন ব্যাপী ‘৪র্থ মহেশখালি আন্তর্জাতিক লেখক উৎসব ও বইমেলা’ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের কম্পোট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল বিশিষ্ট সাহিত্যিক মাসুদ আহমেদ। তিনি বলেছেন -সাহিত্য চর্চা ও বই পাঠ মানুষকে আমূল পরিবর্তন করে দেয়। মানুষের আত্মতৃপ্তি ও মূল্যবোধ গঠনের জন্য সাহিত্য চর্চা ও পড়ালেখার বিকল্প নেই। তিনি সাহিত্যের আর্ন্তজাতিকতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন -দেশের সাহিত্য পাঠের পাশাপাশি আমাদেরকে বিদেশী সাহিত্যের প্রতিও আগ্রহী হয়ে উঠতে হবে। বিদেশী লেখকদের লেখাও পড়ে সামগ্রিক ভাবে জ্ঞানের পথে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত ৪র্থ মহেশখালি আন্তর্জাতিক লেখক উৎসব ও বইমেলার গতকাল ছিল প্রথম দিন। সকাল ১০ টা থেকে মহেশখালী আদালত প্রাঙ্গণে শুরু হয় প্রথম দিনের আয়োজন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাহিত্য পরিষদ সভাপতি ও প্রতিবুদ্ধিজীবী সম্পাদক সমাজ বিজ্ঞানী সাদাত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও মহেশখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক আশিষ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আয়োজনের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কক্সবাজার জেলার সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা, প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ এর যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন, অতিথিদের মধ্যে ছিলেন মহেশখালীর সহকারী কমিশনার(ভূমি) বিভীষণ কান্তি দাশ, জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদীন। ছিলেন কবি ও চলচ্চিত্রকার দিলদার হোসেন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, জেলা শিশু একাডেমি কর্মকর্তা আহসানুল হক, কবি রাসেল আশেকী, কবি অমিত চৌধুরী, কবি সিরাজুল হক সিরাজ, কবি মানিক বৈরাগী, কবি ও শিল্পী রেবা আফরোজ, কবি মোক্তার আমদ রাসেদ, কথা সাহিত্যিক দেলোয়ার হোসেন, মৌলভী জে.এইচ.এম. ইউনুছ, কবি মনির ইউসুফ, অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ জাফর সাদেক, অধ্যাপক আহমদ কবির, কবি আসাদউল্লাহ, আব্দুস সালাম বাঙ্গলী, কবি নিলয় রফিক, উপজেলা কৃষক লীগ সাং. সম্পাদক মো. আলতাজ, আব্দুর রহিম ও মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন -মহেশখালীর মত একটি গ্রাম এলাকায় এমন আয়োজন একটি বিরল ব্যপার। একটি দূর জনপদের মানুষের কাছে চিন্তা ও সাহিত্যের মর্মবোধ তৈরি করার জন্য এমনসব উদ্যোগ খুবই জরুরি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাহিত্য পরিষদ সে রকম একটি কঠিন কাজে হাত দিয়ে সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারা এমন উদ্যোগকে অভিনন্দিত করেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাহিত্য পরিষদ এর পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি ও সম্মানিতজনদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আজ লেখক উৎসব ও বই মেলার দ্বিতীয় দিন। আজ আলোচনা অনুষ্ঠান, কবিতা পাঠ ও দিন ব্যাপী পুঁথি পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হবে। শেষে অনুষ্ঠিত হবে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশনা।