Advertisement


উন্নয়নের বিরুদ্ধে প্রচারণা মানে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধ কথা বলা


সৈয়দুল কাদের ⬤

বিগত সাড়ে ৪ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন প্রিয়নেতা আশেক উল্লাহ রফিক এম পি'র নেতৃত্বে মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় ৪ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে (মেগা প্রকল্প ব্যতিত)। যা মুখের কথা নয় দুই উপজেলায় প্রশাসনের কাছে সংরক্ষিত আছে। যারা হামিদুর রহমান আযাদের মত এলাকার মানুষের কোন খবর রাখেনি তারা হঠাৎ অতিথি পাখির মত আগমন ঘটলে তারা উন্নয়ন দেখবে কিভাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন যেমন ফখরুল রিজভী দেখেনা তেমনি আপনিও দেখছেন না এতে আমরা হতাশ নই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শ মোতাবেক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি যে উন্নয়ন করেছেন তার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালানো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিরুদ্ধে কথা বলার সামিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সারাদেশে নৌকা প্রতীকের জোয়ার বয়ে গেলেও কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াত প্রার্থী অন্তত ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। আপনার জনপ্রিয়তা তখনই প্রমান হয়েছে। জামায়াতের কাছে পরাজিত হয়ে শুধু আপনি লজ্জিত নন, পুরো মহেশখালী- কুতুবদিয়ার মানুষকে আপনি লজ্জিত করেছেন। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বুঝতে পেরেছেন। উচ্চ শিক্ষা ও জনপ্রিয়তা এক নয়। আপনি ৫ বছর পর হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে বলেন, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি কিছুই করেনি এটি কতটুকু গ্রহনযোগ্য। আপনাকে বলতে হবে কি কি করেননি। বিগত সময়ের যারা এমপি ছিলেন তাদের সাথে তুলনা করে বলুন।

আপনি যে ৫ বছর ছায়া এমপি ছিলেন তখন কি করেছেন একটু বলেন। দেশে বিভিন্ন আসনে একাধীক মনোনয়ন প্রত্যশী রয়েছেন। এরা স্থানীয় এমপিদের উন্নয়নের বিরুদ্ধে এভাবে অপ-প্রচার চালাতে আর দেখিনি। এমন মিথ্যাচারে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে আগামি নির্বাচনে হারানোর জন্য যতই ষড়যন্ত্র করা হউক না কেন আশাকরি সফল হবে না।

উন্নয়ন ও সততা আশেক উল্লাহ রফিক এমপিকে আরো এগিয়ে নেবে। আপনি নির্বাচনে হেরে গিয়ে যদি বলেন আওয়ামী লীগের নেতাদের ষড়যন্ত্রের কারণে হেরে গেছেন এটিও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। তাই এ ধরণের মিথ্যাচার কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। আপনাকে যোগ্য মনে করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দেবেন এটিই স্বাভাবিক। মাঠে ময়দানে অতিথি পাখির মত এসে উন্নয়নের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে মনোনয়ন পাওয়া যায় না। তাই সংযত আচারন করুন। জামায়াত বিএনপির সুরেকথা বলা উচিৎ নয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলার সামিল।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

লেখকঃ
সৈয়দুল কাদের
কক্সবাজার প্রতিনিধি
দৈনিক ভোরের কাগজ।
প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ।