Advertisement


কেউ দেখছেনা! এ সড়কটি হোয়ানকের..!!



বিশেষ সংবাদদাতা, হোয়ানক ঘুরে এসে ।। মহেশখালীতে নানা উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হওয়ার পর এলাকার সড়কের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কে যোগাযোগ বেড়ে যাওয়ায় এই সড়কের দীর্ঘ দিনের অনেক বড় বড় খানা-খন্দসহ পুরো সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এই সড়কের হোয়ানকের টাইমবাজার স্থান দেখলে কাহিনীটা উল্টো দেখাবে। মনে হবে দেশ দিনকে দিন অনুন্নত’র দিকে যাচ্ছে! দেশের উন্নয়ন বলতে কিছুই নেই। নেই কোনো কর্তৃপক্ষও। খানা-খন্দে পুরো বাজারের বেহাল দশা হয়েছে। এতে যান চলাচল, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং লোকজনের চলাচলেও বিঘœ হচ্ছে। বিগত ছয়মাসের বেশি সময় ধরে এই অচলাবস্থা বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট কেউ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে দিন দিন পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় তিনশ গজের মধ্যকার বাজারের প্রধান সড়কে ১৫/২০টি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও কাদা আর ময়লায় সয়লাব হয়ে আছে পুরো বাজার। দক্ষিণ দিকের ব্রিজের নিচ থেকে নামতেই এক বিশাল গর্ত। বৃষ্টি পানি জমে থাকায় গর্তটি দেখতে অনেকটা একটি ছোট পুকুর! চলাচল করা যানবাহনগুলো প্রায় ডুবে যায় যায়! অন্য গর্তগুলোতে পানি জমে রয়েছে। এছাড়া পানবাজারে থেকে দক্ষিণ পাশের প্রায় অংশ কাদা আর ময়লা সয়লাব। লোকজন দোকানের ধরে চলাচল করছে। অনেক সময় একটু জোরে চলাচল করা গাড়ির কাদা এসে পড়ছে মানুষের গায়ে।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের এই ভঙ্গুর অবস্থার কারণে বড় ভুক্তভোগীরা ব্যবসায়ীরা। গর্ত আর ময়লায় পুরো বাজার সয়লায় থাকায় কেনাকাটায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক সময় গাড়ির ধাক্কায় কাদা আর ময়লা পানি ছিটকে ঢুকে যাচ্ছে দোকানের ভেতর। একই সাথে বাজারে আসা লোকজন এবং শিক্ষাঙ্গণগামী ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

টাইমবাজারের এই দুরাবস্থার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ লোকজন। তার অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার কারণে বাজার সংলগ্ন সড়কের সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তারা। চেয়ারম্যান প্রতিদিন কয়েকবার এই বাজার দিয়ে যাতায়াত করলেও এ ব্যাপারে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ না থাকায় এটা তার অযোগ্যতার কথাও বলেছেন অনেকে।

বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, উপজেলার কোনো বাজারের এরকম দুরাবস্থা নেই। টাইমবাজার উপজেলার রাজধানী খ্যাত হলেও বাজারটির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কারো মাথা ব্যথা নেই। দীর্ঘদিন অবহেলা অচলাবস্থায় পড়ে আছে। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তিনি চাইলে তদবির করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দিয়ে বাজারটি উন্নয়ন করতে পারেন। তা না পারলে পরিষদের বরাদ্দ থেকেও অনায়সে বাজারটির উন্নয়ন করা যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হোয়ানক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রণে। এখানে ইউনিয়ন পরিষদের কিছু করার নেই। তারপরও আমি কয়েকবার নিজের টাকা দিয়ে সংস্কার করেছিলাম। কিন্তু তা আবার ক্ষয়ে গেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও আমি বারবার তদবির করে যাচ্ছি। এই কারণে তাদের সাথে আমার ঝগড়াও হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের মহেশখালী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেনের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি কল না ধরায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।