Advertisement


দেশজুড়ে আবারও আলোচনায় মহেশখালীর সন্তান এড. খোকন, উচ্চ আদালতে আরও একটি যুগান্তকারি আদেশ


আমি চাই -দেশের সর্বত্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। -রাশেদুল হক খোকন।

 

বিচার পেতে এসে চরম হয়রানী তথা পুলিশকে ধাপে ধাপে ‘খরচাপাতি’ দেওয়ার দেশে অঘোষিত এ বাধ্যতামূলক নিয়ম বুঝি এবার শেষ হতে চলেছে। এবার বড় মহেশখালীর কৃতিসন্তান এড. রাশেদুল হক খোকনের চেষ্টায় আদালত থেকে এমন একটি আদেশ এসছে। -উচ্চ আদালতে পুলিশের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল এবং রেজিস্ট্রির বিধান বাতিল করে ঢাকার সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) দেওয়া আদেশ বাতিল করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।

এ ছাড়া রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতে পুলিশের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল এবং রেজিস্ট্রির বিধানের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। রোববার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ এই আদেশ ও রুল জারি করেন।

রিটকারী পক্ষের আইনজীবী রাশিদুল হক খোকন বলেন, ‘এই স্থগিতাদেশের ফলে আদালতের কর্মচারীদের মাধ্যমে জামিননামা দাখিলের যে বিধান সাবেক সিএমএম চালু করেছিলেন, সেটা কার্যকর থাকবে।’

জানা যায়, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো গত ১২ সেপ্টেম্বর পুলিশের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল ও রেজিস্ট্রির বিধান বাতিল করে দিয়েছিলেন। যে বিচারক জামিন দেবেন, সেই আদালতের স্টেনোগ্রাফারদের মাধ্যমে জামিননামা দাখিল করার বিধান চালু করেন তিনি। অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য সুপ্রিমকোর্ট থেকে তৈরিকৃত ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডারের ১২২(২) ধারায়ও সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফারদের মাধ্যমে জামিননামা দাখিলের এই বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

কিন্তু পরবর্তীতে ঢাকার বর্তমান মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জাহিদুল কবির গত ১৬ অক্টোবর সাবেক সিএমএম মো. সাইফুজ্জামান হিরোর ১২ সেপ্টেম্বরের আদেশ বাতিল করে দেন। এরপর বর্তমান সিএমএম’র ১৬ অক্টোবরের ওই অফিস আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মুকসেদ আলী।

আইনজীবী জানান, কোনো ফৌজদারি মামলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার আগে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করলে আইনজীবীর জামিননামা দাখিল করতে হয় পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শাখায়। সেখানে পাঁচটি ধাপে জামিন আদেশ তৈরি করে পাঠানো হয় বিচারকের কাছে। বিচারকের স্বাক্ষর হওয়ার পর সেই আদেশ কারাগারে পাঠালে জামিনে মুক্তি মিলত বিচারপ্রার্থীর।

আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা বলছেন, এই কাজে জিআরও শাখার প্রতিটি ধাপ পার হতে পুলিশকে ‘খরচাপাতি’ দিতে হতো। তাতে বিচারপ্রার্থীকে ভোগান্তি পোহাতে হতো।

হাইকোটে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নেতা এড. রাশেদুল হক খোকন বড় মহেশখালী এলাকার কৃতি সন্তান। আর আগেও উচ্চ আদালতে যুগান্তকারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আদালত থেকে আরও একাধিক আলোচিত রায় আদায়ে সক্ষম হয়েছিলেন। যা সরাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী রাশিদুল হক খোকন বলেন -সবার আগে মানুষের স্বার্থ, মানুষের জন্যইতো জীবন ও জীবিকা। আমি চাই -দেশের সর্বত্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। যথাযত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে সাধরণ মানুষই লাভবান হবেন। এটাই আমার প্রত্যাশা, এ প্রত্যাশা থেকেই আমি আইন পেশার সাথে জড়িত আছি।