Advertisement


কালারমার ছড়ার সোনারপাড়ায় এরা কারা?

সব খবর রিপোর্ট।।  কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার সোনারপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এরা কারা? -এ প্রশ্ন এখন স্থানীয় শান্তিপ্রিয় বাসিন্দাদের। সরকার সন্ত্রাসের বিষয়ে এতো কঠোর থাকার পরেও কী কারণে তারা এখনও এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তা নিয়ে সাধারণ লোকজনের মধ্যে এক ধরণের অাতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানাগেছে -ওই এলাকার মৃত জাফর আহমদের পুত্র হোছন ড্রাইভারের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এ গ্রুপের অন্ততঃ ১৫-১৬ সদস্যের হাতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এ গ্রুপটি বর্তমানে এলাকায় প্রকাশ্যের অস্ত্রের সহড়া ও ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রের অভিযোগ। দ্রুত এ বাহিনীর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক তাদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ সন্ত্রাসী গ্রুপটিকে এ মুহুর্তে দমানো না গেলে যেকোনো মুহূর্তে এলাকায় সাধারণ শান্তি বিনষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন।

পরিবহন ব্যবসার আড়ালে এ চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলেও সূত্রে প্রকাশ। এ অবৈধ ব্যবসার উপর ভর করে অল্প সময়ে এ হোছন ড্রাইভার চক্রটি রাতারাতি বিশাল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছে বলেও সূত্রের দাবি। একটু গভীর তদন্ত করলেই চক্রটি অবৈধ ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানাগেছে -প্রধান সড়কের সোনারপাড়া অংশে চুরি-ছিনতাই এর সাথেও যুক্ত রয়েছে এ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরা। অভিযোগ রয়েছে কোনো অপরিচিত লোক এলাকায় পেলেই তাদের কাছ থেকে অনায়াসেই মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। সম্প্রতি এ চক্রটির হাতে হামলা ও ছিনতাই এর শিকার হয়েছে অনেকেই।

সূত্র জানায় -অবৈধ টাকার উপর ভর করে এ চক্রটি এমন কোনো অপরাধ নেই যা নিজেদের সিন্ডিকেটের লোকজন দ্বারা করাচ্ছে না। অবৈধ টাকার জোর ও রহস্যজনক কারণে তাদের অনেক অপকর্ম লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েগেছে। মূলতঃ হোছন ড্রাইভার অর্থ যোগানদাতা গ্যাং লিডার হলেও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করছে একই এলাকার জনৈক কবিরের পুত্র মোঃ হাছন। এ হাছনের নেতৃত্বে রয়েছে একটি আর্মস ক্যাডার গ্রুপ৷ এলাকায় নানা অপরাধ করে বিদেশে পাড়ি জমালেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরে এসে সন্ত্রাসী বাহিনীর হাল ধরেছে এই হাছন। বর্তমানে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে চলাফেরা করে সে।

স্থানীয়রা জানান -তাদের এলাকার অাশপাশে কোনো অপরিচত লোক দেখলেই সন্দেহ করে অস্ত্র হাতে তেড়ে আসে ক্যাডাররা। তাদেরকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে মোবাইলসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় তারা। প্রশাসন ও কতিপয় জনপ্রতিনিধির সাথে সম্পর্ক থাকার সুবাদে দিনকে দিন এ বাহিনীটি বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

শুধু এলাকায় সন্ত্রাস করে ক্ষান্ত নয় তারা। বাহিনীর তহবিল সমৃদ্ধ করার অংশ হিসেবে কক্সবাজারে এলএ অফিস ভিত্তিক দালালির সাথেও যুক্ত এ চক্রের সদস্যরা। এ সব বিষয়ে বহু তথ্য প্রমাণ রয়েছে এলাকাবাসীর হাতে। তাছাড়া এ চক্রের মাদক ব্যবসার চাঞ্চল্যকর তথ্যও রয়েছে। সব মিলিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় অপরাধের এক বিস্তৃত নোটওয়ার্ক রয়েছে তাদের।

স্থানীয় শান্তিপ্রিয় লোকজন -দ্রুত এ বাহিনীর বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে প্রশাসনের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানাগেছে -মহেশখালীতে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে প্রশাসন। কালারমার ছড়ার সোনারপাড়া এলাকার এ চক্রটির বিষয়ে তথ্য রয়েছে প্রশাসনের কাছে। এ ব্যপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।