Advertisement


মহেশখালীর পাহাড়ে অভিযানের বিস্তারিত..

রকিয়ত উল্লাহ, মহেশখালীর সব খবর ।।
মহেশখালীর পাহাড়ের গভীর অরণ্যে পুলিশের অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মদসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে মহেশখালী থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ফেরদৌস এর নির্দেশে হোয়ানক  পুলিশ  ক্যম্পের এ এস আই আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্স সহ পানিরছাড়া গভীর পাহাড়ের কমলাঘোনা নামক পাহাড়ের ডেরাই ছদ্মবেশে সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বাংলা মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। আটককৃত হলেন,বড় মহেশখালী বড় ডেইল এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র  আমান উল্লাহ ও রাস্তারমাথা এলাকার জহির উল্লার পুত্র আমির হোসেন।

পুলিশের অভিনব কায়দায় পাহাড়ের গভীরে পানের বরজের শ্রমিক সেজে  লুঙ্গি পরে ছদ্দবেশে অভিযান চালাই।  দীর্ঘ তিন ঘন্টা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধ অভিযান সফল হয়, বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ ছোট-বড় দশটি কন্টেইনার, ডেকসি, মদ তৈরি ব্যবহারিত মালামাল সহ দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও তিন জন পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে  অভিযান জোরদার করতে মহেশখালী থানার এসআই বোরহান, রানা ও এএসআই জহিরের নেতৃত্বে আরো একটি টিম এসে সংযুক্ত হয়। আটক হওয়া আমান উল্লাহ ঘটনাস্থলে জানান -তিনি দৈনিক ৭০০ টাকার বিনিময়ে মদ তৈরি করলেও আসল মদের কারখানার মালিক বড় ডেইল এলাকার  সামশুল আলম। এমন কি পুলিশের হাতে আটক ও হওয়ার পর সামশুলের পুত্র শাহাব উদ্দীন একাধিকবার আমান উল্লাহকে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে কি না পালিয়ে গেছে কিনা জানতে চান।  পরে ঘটনাস্থলে মদের কারখানাকে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এদিকে মদের কারখানা থেকে মহেশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে মদ সরবরাহের পাশাপাশি বদরখালী,চকরিয়া সহ একাধিক স্থান মদ গুলো বিক্রি করা হয় বলে জানা যায়।

মাতারবাড়ী পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ এসআই শাহাজানের নেতৃত্বে মগডেইল এলাকা থেকে আজবাহার (৬৫) নামে এক মহিলাকে ৫০ লিটার দেশীয় তৈরি বাংলা মদসহ আটক করা হয়।

মহেশখালী থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস জানান, মাদক ব্যবসায়ি মহেশখালীর পাহাড়ে নয় মাটির ভিতরে লুকিয়ে থাকলেও তাদের খুজে বের মাদকমুক্ত করা হবে বলে জানান।