Advertisement


নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিতে উপজেলা প্রশাসনের ৯ নির্দেশনা

অসীম দাশ।।

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ-রুটে অনাকাঙ্খিত নৌ-দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এবার বোট মালিক ও বোট চালকদের প্রতি ৯টি নির্দেশনা দিয়েছেন মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন। মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া ঐ ৯ নির্দেশনা গুলো হল-

১। যাত্রাপথে চালক ও যাত্রীদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরিধান থাকতে হবে।
২। মেয়াদ উত্তীর্ণ ও জরাজীর্ণ বোট দ্বারা যাত্রী পারাপার করা যাবে না।
৩। স্পিড বোট/গাম বোট/ কাঠের বোটে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।
৪। জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত সূর্যাস্থের পর বোট চালানো নিষেধ।
৫। কোন যাত্রীর সাথে অশোভন আচরণ করা যাবে না।
৬। প্রত্যেক যাত্রীকে সারিবদ্ধ হয়ে সিরিয়াল মেনে গাম বোট/স্পিড বোট/কাঠের বোটে উঠানামা করতে হবে।
৭। গাম বোট/কাঠের বোটে চালকের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ১ জন সহকারী থাকতে হবে।
৮।  স্পিড বোট/গাম বোট/ কাঠের বোট চলাকালে যাত্রীদের কাছ থেকে মাঝপথে ভাড়া আদায় করা যাবে না।
৯। প্রতিটি নৌযানে সিগন্যাল লাইট সংযোজন ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

এসব নির্দেশনা প্রসঙ্গে মহেশখালী রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি এস.এম রুবেল বলেন, “উপজেলা প্রশাসন থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা ঠিক আছে। কিন্তু এসব নির্দেশনার সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে। নির্দেশনা গুলো বাস্তবায়ন করা না গেলে অনিয়ম থামবে না।”

এদিকে সেতু আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম ও জন শক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরি জানিয়েছেন,  “ আগেও উপজেলা প্রশাসন এরকম কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল। আমরা দেখেছি সেসময় প্রশাসন-নৌবাহিনী নির্দেশনা অমান্যকারীদের মারধরও করেছিল। কিন্তু যতদিন অভিযান চলেছিলা ততদিনই নির্দেশনা মেনেছিল বোট চালকরা ”

“এখন নতুন ইউএনও এসেছেন। সেতুর দাবীতে মহেশখালীবাসীও আন্দোলন করছে। এমন সময় তিনি বোট চালকদের প্রতি ৯টি নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা চাইবো এসব নির্দেশনা যাতে স্থায়ীভাবেই বাস্তবায়ন করা হয়।”-যোগ করেন তিনি।

যাত্রীদেরও সমানতালে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে পরিবেশবাদী এই নেতা আরও বলেন, “ শুধু নির্দেশনা জারী করলেই ঘাটের অব্যবস্থাপনা দূর হবে না। এসব নির্দেশনা বোট চালকরা মানছে কিনা তা নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।”

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো:মাহফুজুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন,“ আমি মহেশখালীর সুশীল সমাজ-সাংবাদিক-ছাত্রসহ বিভিন্ন জনের সাথে বৈঠক করেছি এবং বোট চালকদের প্রতি ৯টি নির্দেশনাও জারী করেছি। ”
নির্দেশনা বাস্তবায়নে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে এমন প্রশ্নে মি.মাহফুজুর বলেন,“ এসব নির্দেশনা বোট চালকরা মানছে কিনা তা আমরা নিয়মিত মনিটরিং করবো। অলরেডি তাদের সাথে একটা মিটিং ডেকেছি। বোট চালকদের জন্য প্রয়োজনীয় লাইফ জ্যাকেট প্রশাসন থেকে দেয়ার একটা উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ ও জরাজীর্ণ বোট অপসারণ কোন পদ্ধতিতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,“ বোটের ফিটনেস যাচাইয়ের বিষয়টি আসলে বিআইডবিøউটিএ’র। এটিও পযার্য়ক্রমে করা হবে।”