Advertisement


পানচাষি খুনঃ মহেশখালীতে জনতার বিক্ষোভ, প্রায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি


খালেদ মোশাররফ।।
মহেশখালীতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আবদুল গফুর (৩৫) নামের এক পানচাষীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ মহেশখালীতে পানচাষি ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছে। পরে পুলিশের আশ্বাসের মুখে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসুচি স্থগিত করেন। খুনের ঘটনায় নাম উল্লেখ করা ৮ জনসহ প্রায় ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। 

১১ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সিরডেইল এলাকায় এ খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি ওই এলাকার ফিরোজ মিয়ার পুত্র।

মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই সব খবরকে জানান -এ খুনের ঘটনার নিহতের ভাই খাইরুল আমিন বাদি হয়ে মামলা করেছে। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে আরও ১০-১২জনকে। খুনের সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।


স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে -পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার একদল হামলাকারী উপর্যপুরি কুপিয়ে কৃষক আবদুল গফুরকে খুন করে।

নিহতের পিতা ফিরোজ মিয়া জানান -তার এলাকার অছিউর রহমানের ছেলে ইউসূফ জালালসহ কয়েকজন প্রকাশ্যে দা-ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে ছেলে গফুরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

এদিকে এ ঘটনার একদিন পার হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর প্রতিবাদে আজ বিকেলে বড় মহেশখালী বাজার ও প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় জনতা ও পানচাষিরা। তারা দ্রুত এ খুনের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানান। বিক্ষোভকারিরা মিছিল ও সমাবেশ করেছে বলে জানাগেছে। বিক্ষোভে নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। এ সময় প্রধান সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে একদল পুলিশ ওই এলাকায় উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে কথা দেওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। 


মহেশখালী থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে -খুনের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করছে। তারা আশা করছে দ্রুত অপরাধিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে। 

মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাপ্পি সরদার মামলাটি তদন্ত করছেন।