১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে বেশি ক্ষতি হয় এই দুই ইউনিয়নে এবং প্রায় হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়।
সরেজমিন দেখাগেছে, মাতারবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাট ও সাইট পাড়ার পশ্চিমে বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানির ধাক্কায় ধসে গেছে। আর যে অংশে রয়েছে তা যে কোনো মুর্হুতে ধসে গিয়ে মাতারবাড়ি পানিতে ডুবে যেতে পারে।
ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, স্থায়ি বেড়িবাঁধ না থাকায় ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এর পর দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও টেকসই বেড়িবাঁধ নিমার্ণ করা হয়নি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায় -১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ের পর স্থানীয় লোকজনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়ানে এ উপজেলায় ৮৪ টি সাইক্লোন শেল্টার (আশ্রয়) কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এসব আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের পর থেকে কোনো রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্কারের অভাবে প্রায় ৪০ টি আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
উপজেলার বর্তমান প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের বসবাস হলেও জনসংখ্যা অনুপাতে আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা অতি নগন্যা।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন- মহেশখালীতে যে সমস্ত বেড়িবাঁধ ধসে গেছে সংস্কারের জন্য কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড -পাউবো। আর যে সমস্ত সাইক্লোন শেল্টার (আশ্রয়ন কেন্দ্র) ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ছে তা সংস্কার কাজ চলমান।