জানাগেছে, চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের আওতাধীন মহেশখালী রেঞ্জের কালারমার ছড়া বনবিটের নোনাছড়ি পাহাড়ে বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে ১২ ঘনফুট ৫ মাথা আকাশ মনি গাছ উদ্ধার করেছে।
৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর দেড় টার সময় উপজেলার কালারমার ছড়া নোনাছড়ি মঈনুল ইসলাম আলিম সিনিয়র মাদ্রাসার লাগায়ো পাহাড় থেকে গাছগুলি উদ্ধার করা হয়।
জানাগেছে, উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি পাহাড় থেকে সরকারের সৃজিত আকাশ মনি গাছ গুলি কর্তন করে বিক্রির জন্য একটি স্থানে জমা করছিল মৌওলানা মুবিনুল হকের নেতৃত্বে একটি গাছ চোর সিন্ডিকেট। গাছ কর্তনের বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে কালারমার ছড়া বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালামের নেতৃত্বে স্টাফ রাসেলসহ একদল বনবিভাগের লোকজন ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাছগুলি উদ্ধার করে।
কালারমার ছড়ার মঈনুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মৌওলানা মুবিনুল হকের নেতৃত্বে এই গাছ গুলি কর্তন করেছে বলে স্থানীয়দের ও বনবিভাগের লোকজন জানান।
অপরদিকে বিভিন্ন সময় কালারমার ছড়া মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার পাহাড়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের এ মূল্যবান গর্জন (মাদার ট্রি) আকাশ মনি গাছ কেটে সাবাড় করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উক্ত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুবিনুল হক বছরে লাখ লাখ টাকা গাছ বিক্রি, মাটি বিক্রি ও জমি লাগিয়তের টাকা সরকারী আয় ব্যয়ের হিসাবে উল্লেখ না করে বছরের পর বছর এমনও তথ্য পাওয়া গেছে। ফলে আয়ের লাখ লাখ টাকা তিনি পকেটেস্থ করেছে বলে জনশ্রুতি আছে। যার কারণে দুর্ণীতি অভিযোগ উঠেছে উক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার পিতা অধ্যক্ষ থাকাকালীন বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে ও খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন -তার পিতা অধ্যক্ষের পথ থেকে অবসরে চলে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মুবিনুল হক মাদ্রাসাটিকে পৈত্রিক সম্পত্তি মতো একের পর এক দুর্নীতির খতিয়ান দীর্ঘ করলেও সংশ্লিষ্টরা রয়েছে নির্বিকার। সরকারের সৃজিত বাগান যেন তার পৈত্রিক সম্পত্তির মত গাছ কেটে লুট অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া গাছ লুটকারী সরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে গাছ কর্তনের অনুমতি নেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্ত অভিজিত বড়ুয়া বলেন, পাহাড়ী সৃজিত গাছ কর্তন করে স্তুপ করেছিল।
পরে খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন গাছগুলি জব্দ করেছে। গাছ কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশখালীর সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, পাহাড়ী গাছ কাটার জন্য কেউ অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার নাই,তবে কোন ব্যক্তি যদি ভূমি কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে এসব কাজ করে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।