Advertisement


রাতে মহেশখালীতে শত শত লোক আশ্রয়কেন্দ্রে, নিচু এলাকা প্লাবিত, প্রশাসনের তৎপরতা


নিউজরুম।।
ঘুর্ণিঝড় 'ইয়াস' ও পূর্ণিমার প্রভাবে অধিক উচ্চতার জোয়ারের পানিতে রাতে মহেশখালীর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় নিচু এলাকায় বসবাসকারি লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান নিয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে মহেশখালীতে মোট ৯৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় 'ইয়াস' ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উপকূল অতিক্রমের মুখে রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ি ঘুর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এ অস্থায় মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ না থাকায় অতিজোয়ারের পানিতে নিন্মঞ্চল প্লাবিত হয়ে আছে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে মহেশখালীতে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে ধমকা হাওয়া অনুভুত হচ্ছে।

এদিকে মহেশখালীর নিচু এলাকায় বসবাস করা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। কুতুবজোম, ধলঘাটা ও মাতারবাড়িতে বিপুল সংখ্যক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে তাদেরকে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানাগেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে সার্বিক বিষয় তদারকি করছেন।

এদিকে আজ সকালেও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাবে বলে জানাগেছে। সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে পূর্ণ জোয়ার হবে। এ অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।