Advertisement


সরকারি তথ্যঃ মহেশখালীতে ঘুর্ণিঝড়ে যা ক্ষতি হয়েছে, ত্রাণ বরাদ্দ


খালেদ মোশাররফ ।।২৬ মে । পূর্ণিমার অতিজোয়ার ও ঘুর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া দ্বীপের নিন্মাঞ্চল পানির নিচে তলীয়ে গেছে। দ্বীপ রক্ষা বেড়ীবাঁধ ও উপকূলীয় চিংড়ী ঘের সমুদ্রের পানিতে তলীয়ে গেছে। বাড়িহারা হয়ে পড়েছে নিচু এলাকার মানুষ। বিপুল সংখ্যক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মহেশখালীতে এসেছে সরকারি ত্রাণ।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন -ঘুর্ণিঝড়ের কারণে মহেশখালীতে ৬শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণ হিসেবে সরকারি ভাবে দুই লাখ নগদ টাকা ও ১৩ টন চাল বরাদ্দ পাওয়াগেছে। মহেশখালী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন -ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মহেশখালীতে ৪শত কাচা বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে চার শত বাড়ি। ৬শত পরিবার সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ কিলোমিটার। তাছাড়া সরকারি ভাবে চিংড়ী ঘের ক্ষতি দেখানো ১৬০ টি।

এদিকে বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা প্রবীর গোস্বামী ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ মহেশখালীর মাতারবাড়ি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা দেড় শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন -অতিজোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে মহেশখালী পৌর এলাকা, কুতুবজোম, মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার উপকূলীয় এলাকার বিপুল সংখ্যক চিংড়ী ঘের সমুদ্রের পানিতে বিলীন হয়েগেছে। ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ। তাছাড়া পাহাড়ি পানের বরজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।