Advertisement


পূর্ণিমা তিথি ও ইয়াসের প্রভাবে প্লাবিত মহেশখালী-কুতুবদিয়া উপকূল


ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ।।
দেশের সংকটময় মুহুর্তে প্রকৃতিক দুর্যোগ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী-কুতুবদিয়া উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পূর্ণিমা তিথির জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আছড়ে পড়েছে। সমুদ্রিক জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে এলাকা, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলার বেশকিছু এলাকায় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।


এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে আবহাওয়ার ১২ নম্বর বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়েছে। ফলে অতিরিক্ত জোয়ারের উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে বলে খবর এসেছে। ইয়াসের প্রভাবে ঘণ্টায় ৮৯ হতে ১১৭ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।

মহেশখালী উপজেলা ও থানা প্রশাসন এক হয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে কাজ করছে। ঘুর্ণিঝড় "ইয়াস" মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপজেলার সবকটি সাইক্লোন সেল্টার। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা  মানুষদের জন্য খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার সেচ্ছাসেবীরা সাগর তীরবর্তী সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং করে উদ্বুদ্ধ করছেন।

মহেশখালীর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: শরীফ বাদশা জানান, ধলঘাট, মাতারবাড়ীর বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল জানান, চৌফলদন্ডী, ইসলামপুর, পোকখালী ইউনিয়নের বেশকিছু পয়েন্টে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মৎস্য ঘেরের ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান জানান, ইয়াসের সম্ভাব্য ক্ষতি ও দুর্যোগ মোকাবিলার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খালি রাখার পাশাপাশি কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও পানি মজুতের ব্যবস্থা করেছি। মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ঘুর্ণিঝড় "ইয়াস" মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।