Advertisement


কালারমার ছড়ার গ্রেফতার হওয়া বাবু মেম্বারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

সড়ক উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত কোম্পানীর লোকের সাথে আঁতাত


নিজস্ব বার্তা পরিবেশক।। মহেশখালী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া কালারমার ছড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আখতারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন থেকে তিনি নানা প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র অভিযোগ করতে শুরু করেছে। তাছাড়া মীর আখতার গ্রুপ এর কাজে নিয়োজিত লোকের সাথে আঁতাত করে উন্নয়ন কাজের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধ।

সূত্রের লিখিত অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রের থেকে প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়, সম্প্রতি একাধিক প্রতারণা মামলায় মহেশখালী থানা পুলিশ আখতারুজ্জামান বাবু মেম্বারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। তার গ্রেফতারের পর এলাকাবাসী তার বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে তথ্য দিতে শুরু করেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে জানাযায়, কালারমার ছড়ায় মীর আখতার গ্রুপের অধীনে রোডস্ এন্ড ব্রিডজ প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন কাজ চলছে। নিজের এলাকায় কাজ চলার সুবাধে বাবু মেম্বার মীর আখতার গ্রুপের প্রজেক্ট ম্যানেজার(পিএম) এর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে এই পিএম এর সাথে আঁতাত করে প্রকল্পের কাজের জন্য আনা বিভিন্ন মালামাল বাবু মেম্বার গোপনে নিজের আয়ত্বে নিয়ে আনে। এ সব মালামাল নিজে ব্যবহার ও বিক্রি করে বলে সূত্রের অভিযোগ। সূত্র জানায়, গত লকডাউনের সময় এ প্রকল্পের কাজে আনা ৬২ কার্টুন টাইলস সরিয়ে নেয় বাবু মেম্বার, একই সাথে প্রায় ৪০ লাখ টাকার লোহার রড চুরি করে। পরে ১৫ ডাম্পার পাথর চুরি করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে একজন সিকিউরিটি গার্ডকে বাধ্যতামূলক চাকরিচ্যুত করা হয় বলে অভিযোগে প্রকাশ। তাছাড়া গত কয়েকমাস আগে মূল্যবান লোহার পাত চুরি করে জনৈক মনির আহমদের পুকুরে লুকিয়ে রাখে। পরে জনসম্মুখে এ পাতগুলো উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া বাবু মেম্বারের ভাই বর্তমানে প্রবাসী ছোটন একটি মূল্যবান ওয়েল্ডিং মেশিন চুরি করে, বিভিন্ন সময় চুরি করা হয় সেরা পানির ট্যাংকসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র। টাইলসসহ বিভিন্ন মালামাল বাবু মেম্বারের বাড়িতে ব্যবহার করা হয়, অন্যসব টাইলস বদিউল আলম নামের একজনের কাছে বিক্রি করা হয় বলে সূত্র জানায়।

প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি হওয়া একাধিক মামলায় বাবু মেম্বারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মহেশখালী থানার ওসি মো. আব্দুল হাই।

এদিকে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ও পিএম এর সাথে আঁতাত করে এ সব অপকর্ম করে আসলেও এতোদিন কেউ এ নিয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এ অবস্থায় সঠিক তদন্ত হলে আরও বহু তথ্য উঠে আসবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।