ভিডিওগুলোতে দেখা যায়- কালারমার ছড়ার ছামিরাঘোনার মো. ইসমাইলের ছেলে আনসার ভিডিও কলে ডাকাত তারেককে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র প্রদর্শন করছে। এসময় অস্ত্র সরবরাহ ও সংগ্রহ, ডাকাতির পরিকল্পনা, মারামারি এবং পুলিশের ভয়ে আত্মগোপনে থাকার বিষয়েও কথোপকথন হতে শোনা যায়।
অন্যদিকে, তারেক নামের আরেক ডাকাত ও সন্ত্রাসীর একই ধরনের আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ফলে পরপর দুই সন্ত্রাসীর একাধিক অস্ত্রসহ ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা জানান, ছামিরাঘোনার বাসিন্দা আনসার ডাকাত দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আইনশৃ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোসহ সড়কে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র সরবরাহ ও বিক্রির সাথে জড়িত। এছাড়াও সে এলাকায় ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক বিক্রি করে আসছে। অপরদিকে তারেকের বিরুদ্ধেও সড়কে ডাকাতি, হত্যা ও ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাত আনছার ও তারেকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একাধিক হত্যা, ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, গত ২০ মার্চ কালারমার ছড়ার চিকনীপাড়া ও ঝাপুয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাদা পোশাকে একটি অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বিদেশি অস্ত্রসহ সিভিল পোশাকের চারজনের একটি ছবি ভাইরাল হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃংখলা বাহিনী গণমাধ্যমকে জানায়, অস্ত্রসহ থাকা ব্যক্তিরা তাদের সদস্য। তবে স্থানীয়রা দাবি করেন, ছবির পিছনে লাঠি হাতে থাকা যুবক আসলে আনসার ডাকাত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং ছবিটি মিলিয়ে দেখা গেছে, আনসার ডাকাতই তখন লাঠি হাতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু আহমেদ। তিনি ‘সব খবর’কে বলেন- “কয়েকদিন ধরে অস্ত্রের দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটি সন্ত্রাসী তারেকের, অন্যটি ডাকাত আনসারের। আনসারকে সোর্স হিসেবে এলাকায় শোনা গেলেও, উভয়েই সন্ত্রাসী। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি মঞ্জুরুল হক জানান- “কালারমার ছড়ায় যেসব অস্ত্রের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাদেরকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।”