Advertisement


দূষণের পথে কুহেলিয়া নদী, ফেলা হচ্ছে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বর্জ্য, শংকিত পরিবেশবাদীরা

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ।। 
মহেশখালী উপজেলায় কালারমার ছড়া ও মাতারবাড়ি-ধলঘাটার মাঝখানে অবস্থিত কোহেলিয়া নদীতে মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে নদীর পানি ঘোলাটে হয়ে আসছে আর তাতে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। এ অবস্থায় প্রাচীন নদীটি অস্তিত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে সংশ্লিদের ধারণা। এতে শংকা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা।

সূত্র জানায়, মাতারবাড়িতে দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য মাতারবাড়ির দক্ষিণে ১৪’শ ১৪ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে সরকার। বর্তমানে সেখানে মাটি ভরাট করে প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ চলছে দ্রুতগতিতে । প্রকল্পে যাওয়ার রাস্তা নির্মাণের জন্য কোহেলিয়া নদীর একটি বিরাট অংশ ইতোমধ্যে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এতে অস্তিত্ব হারিয়ে বিলীন হতে যাচ্ছে এই নদী।

তথ্য বলছে -গত জানুয়ারিতে জাতীয় নদীজোট ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)'র একটি টিম কোহেলিয়া নদী পরিদর্শনে এসেছিলেন। প্রকাশ্যে নদী ভরাটের দৃশ্য দেখে তারা মর্মাহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেছেন, মাতারবাড়িতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের অযুহাতে কোহেলিয়া নদী ভরাট করে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। সাথে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পলিমাটি ও দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে, এতে পানি ঘোলাটে বা দূষিত হচ্ছে। যার কারণে একদিকে যেমন নদী ভরাট হচ্ছে -অন্যদিকে দখলের কারণে ছোট হয়ে আসছে এ নদী। এভাবে দূষণ ছড়াতে থাকলে মারাত্মকভাবে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে বলেও অভিমত দেন তারা।

কোহেলিয়া নদী রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক আবুল বশর পারভেজ বলেন, মহেশখালীর কোহেলিয়া নদীটি যেভাবে দ্রুত ভরাট হচ্ছে -এ অবস্থায় যদি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এর বিহিত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই হারিয়ে যাবে এ নদীটি । তাই উক্ত নদীটি খনন এর ব্যবস্থা করে জেলেদের মাছ ধরার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, মহেশখালীর কোহেলিয়া নদীসহ কক্সবাজারের সকল নদী নিয়ে আমাদের বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি কোহেলিয়া নদী রক্ষায় আমরা মহেশখালীবাসীকে সুবার্তা দিতে পারবো।