অতিথি প্রতিবেদক।। আমেনা বেগম (ছদ্মনাম)। বয়স সবেমাত্র ১৪ বছর। মহেশখালীর একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণী মেধাবী ছাত্রী। কিন্তু দরিদ্রতার অজুহাতে প্রবাসী ছেলের বিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করে বাবা-মা। তবে এই কিশোরী বিয়ে করতে রাজি নন। পিতা-মাতাকেও অনেক বুঝিয়েছেন, কিন্তু ফলাফল মেলেনি।
সর্বশেষ সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্ব-শরীরে হাজির হন এই ছাত্রী। এরপর ইউএনও মো. মাহফুজুর রহমানকে বিস্তারিত খুলে বলেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে রাত ৮টায় ছোট মহেশখালীর পশ্চিম সিপাহীর পাড়া গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এসময় বাবা-মা ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলেন ইউএনও। এতে ঘটনার সত্যতা মেলে। পরবর্তীতে কিশোরীর মা-বাবাকে বুঝিয়ে বাল্যবিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা রুখে দেন ইউএনও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, মেয়েটি আমার অফিসে এসে অভিযোগ করেন। সে জানায়, তার বা-মা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সৌদি প্রবাসী ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চায়। অভিযোগ পেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে মা-বাবা ও প্রতিবেশীর সাথে কথা বলি। একপর্যায়ে বাল্যবিয়ের বিষয়টির সত্যতা পাই। মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। সে পড়তে আগ্রহী। মেয়েটির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার মা-বাবাকে বাল্যবিয়ে থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মেয়েটি খুব মেধাবী। সে তৃতীয় শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত রোল নম্বর এক হয়ে আসছে। সে বিয়ের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া আমরা খুব খুশি।