Advertisement


বড় মহেশখালী মাহারাপাড়ার সেই সোলতান আহমদ অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার


বার্তা পরিবেশক।।
বড় মহেশখালী মাহারাপাড়া এলাকার বহু অপকর্মের হোতা দাঙ্গাবাজ সেই সোলতান আহমদ অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। বুধবার বিকেলে মহেশখালী থানার একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

সূত্রের লিখিত অভিযোগ থেকে জানাযায় -স্থানীয় জনৈক মৃত ইমান আলীর পুত্র সোলতান আহমদ একজন মামলাবাজ ও দাঙ্গবাজ প্রকৃতির লোক হয়।  এলাকায় তুচ্ছ বিষয় নিয়েও প্রভাব খাটিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা করে আসছিল দীর্ঘ দিন থেকে। সূত্র জানায় -গত কয়েক বছরে নিষিদ্ধ ব্যবসার আড়ালে রাতারাতা অঢেল টাকা পয়সার মালিক বনে যাওয়ায় এ সোলতান অবৈধ টাকার জোরে ক্রমশ উশৃংখল ও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এলাকার কিছু মাস্তান প্রকৃতির লোকজন নিয়ে একটি গ্যাং সৃষ্টি করে প্রকাশ্য ও গোপনে নানা অপকর্ম করতে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় নিরীহ লোকজনের সম্পত্তি ভোগ-দখলের জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ সব সম্পত্তি দখলের জন্য তার গ্যাং নিয়ে অস্ত্র সজ্জিত হয়ে নিরীহ লোকজনের উপর দফায় দফায় হামলা চালায়। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন সূত্রিতার পর অবশেষে মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ শরীফ বাদশা উভয় পক্ষের সার্বিক বিষয় পর্যোবেক্ষণ ও অনুসন্ধান করে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই এলাকার নিরীহ লোকজনের উপর ফের দুর্দষ হামলা চালায় এ সোলতান বাহিনী।

গত ১৪ জুন দিন-দুপুরে অবৈধ বন্দুকসহ নানা অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ফের হামলা চালালে এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ভাবে একাধিক নিরীহ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনও মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে। পরে এ ঘটনায় আহতদের একজন মোহাম্মদ শাহজাহান বাদি হয়ে এই সোলতান আহমদকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার পর থেকে সোলতান আহমদ তার দলবল নিয়ে পলাতক থাকলেও পুলিশ তাকে ধরতে ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।

অবশেষে বুধবার বিকেলে মামলার প্রধান আসামি সোলতান আহমদকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। তার গ্রেফতার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিরীহ লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

এ অবস্থায় মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। সোলতানকে গ্রেফতার করার পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন।