Advertisement


আত্মসমর্পণের পরও মহেশখালীতে কমেনি সন্ত্রাসী ও জলদস্যু তৎপরতা


সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ড করে রেহায় পাওয়ার সুযোগ নেই -ওসি

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ।। আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সাথে জমা দিয়েছে গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও। আত্মসমর্পণ করেছে দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী, জলদস্যু ও অস্ত্র তৈরির কারিগর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে এরা অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করার পর কক্সবাজারের মহেশখালীতে সাধারণ মানুষ ভেবেছিল কমবে দস্যুতা। বন্ধ হবে অস্ত্র তৈরি। কিন্তু না দেশের প্রত্যন্ত এ অঞ্চলে আত্মসমর্পণের মতো এমন বিরল ঘটনা ঘটার পরও এসবের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এখনো হরহামেশাই সাগরে হচ্ছে দস্যুতা, তৈরি হচ্ছে অস্ত্র।

তবে মহেশখালী থানা প্রশাসনের তৎপরতায় রেহায়ও পাচ্ছেন না অনেকে। সম্প্রতি মহেশখালীতে চলতি মাসে প্রায় ডজন খানেকরও বেশি জলদস্যু ও অস্ত্র তৈরির কারিগরকে ধৃত করে জেলে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ ও র‍্যাব-১৫। এছাড়াও বাকিদের ধরতে প্রতিনিয়ত তাদের গোপন অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

তথ্যসুত্রে, 'গত (৮ আগস্ট) বঙ্গোপসাগরে মহেশখালী-সোনাদিয়া চ্যানেলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ দুই জলদস্যুকে আটক করে র‍্যাব-১৫। অপরদিকে একইদিন মহেশখালীতে সাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জলদস্যুকে জনতার সহযোগিতায় আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশ। সেদিন র‍্যাব-পুলিশ মিলে মোট ৫ জন জলদস্যুকে আটক করে।

পুলিশের হাতে আটককৃতরা হলেন, কুতুবদিয়ার উপজেলার উত্তর ধুরুং নাথপাড়ার বাদশা মিয়ার পূত্র আনিসুল ইসলাম ছোটন (৩৪), দক্ষিণ ধুরুং অলি পাড়ার আহমদ ছৈয়দের পূত্র আজিজুর রহমান (৩৭) ও মুসা সিকদার পাড়ার মঞ্জুর আলমের পূত্র রায়হান (৩১)। র‍্যাবের হাতে আটককৃত দুজন হলেন, কুতুবদিয়া উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের নাজের হোসেনের ছেলে মো. রাশেদ ও আবু তৈয়বের ছেলে মো. মিজান।

অন্যদিকে, গত (১১আগস্ট) মঙ্গলবার হোয়ানকের জামাল পাড়া এলাকার পাহাড়ী আস্তানায় গোপন অভিযান চালিয়ে ৫টি দেশীয় অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামসহ মাহমুদুল করিম (মাদুইয়্যা) নামে এক অস্ত্র তৈরির কারিগরকে আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশ। এ নিয়ে মোট ৩ দিনে এক ডজন সন্ত্রাসী ও জলদস্যু আটক হয়।এছাড়াও গত (১৪ই জুলাই) থেকে (১৩ই আগস্ট) পর্যন্ত ১ মাসে আটক হয়েছে চুর, মদ ব্যবসায়ীসহ আরো ৬জন। এদের সকলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দেওয়া হয়।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই জানান, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি দ্বীপের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে। ইতোমধ্যে গত ১ মাসে চুর, মদ ব্যবসায়ীসহ মোট দুই ডজন সন্ত্রাসী ও জলদস্যু আটক করেছি। এর আগেই ইয়াবার বড় চালান উদ্ধার করেছি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কেউ রেহায় পাওয়া সুযোগ নেই। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। আমরাও কাজ করছি এদের ধৃত করতে। আগামীর শান্তির জনপদ মহেশখালী নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ।