Advertisement


সমুদ্রে ডাকাতি করতে নামার আগেই পুলিশের জালে আটকা পড়ল দস্যুদল


রকিয়ত উল্লাহ।। মহেশখালীর সোনাদিয়ায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরী অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যুকে আটক করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। ২৭ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৪ টায় সোনাদিয়ার পূর্ব-পশ্চিম পাড়ার বড়ইতলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালের তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়৷ এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, দেশীয় তৈরী ১টি রাম দা (লম্বা কিরিচ) উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই। 

তিনি জানান, সোনাদিয়ায় এক দল দস্যু সমুদ্রে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে মর্মে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত দ্বীপে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন। এসআই শাহাদাত, মনিষ ও জাহিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম নদীপথ পাড়ি দিয়ে সোনাদিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে৷ তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।  

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সোনাদিয়ার পূর্ব-পাড়ার  মাহমুদুল হকের পুত্র মোঃ রাসেল(৩২), মাতারবাড়ির নতুন পাড়ার নুরুল হোসনের পুত্র ওয়াজ উদ্দিন(২৭), মাতারবাড়ির মিয়াজির পাড়ার আবুল হোসনের পুত্র মো. সাগর(২৫), একই ইউনিয়নের সাইরার ডেইল এলাকার আবুল হোসনের পুত্র আব্দুল মালেক(৩৫) ও কক্সবাজার সদরের নাজিরাটেকের টেকপাড়ার মিয়া হোসেনের পুত্র মো. শহিদ।

সূত্রে জানা যায়, গত  বঙ্গোপসাগরে ৪টি ট্রলারে ডাকতির সময় জলদস্যুর গুলিতে গুলিবিদ্ধসহ ১৫জন আহত হয়। তখন নগদ টাকা, মাছসহ জেলে নৌকার বিভিন্ন সামগ্রী ডাকাতি করে নিয়ে যায় দস্যুরা।

এ ঘটনার পর থেকে জলদস্যুদের ধরতে বিভিন্নস্থানে পুলিশ অভিযান চালান। অবশেষে সোমাবার  সোনাদিয়ায়সাগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ দস্যুকে বন্দুকসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।

মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রীতি সোনাদিয়াসহ কয়েকটি স্থানে মাছের ট্রলারসহ অন্যান্য ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনার বিষয়ে গ্রেফতার তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আরও কয়েকজন জলদস্যুর নাম জানা যাচ্ছে। তাদের ধরতে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে -মূলতঃ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পুলিশ এ অভিযান চালায়। জলদস্যুরা সোনাদিয়াকে তাদের অপরাধ ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করে সমুদ্রে দস্যুতা চালিয়ে আসছিল।