বার্তা পরিবেশক।। মহেশখালীতে ফের আদালতের আদেশ অমান্য করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে এলাকার প্রভাবশালীরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের জমি জোর পূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতের আদেশ ও নির্দেশনার অনুবলে মহেশখালী থানা পুলিশ সংশ্লিষ্টদের বিরোধপূর্ণ জায়গায় কোনও প্রকার কার্যক্রম চালাতে নিষেধ করলেও সংশ্লিষ্টরা এ নিষেধ না শোনে একের পর এক দখল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অসহায় ভূমি মালিকরা প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা মৌজায় মৃত দীপক কুমার পাল এর পুত্র অনিন্দ্য কুমার পাল ও সন্দীপন পাল এর ১০ শতক জমি অবৈধ দখলের জন্য পাঁয়তারা করে আসছিল একই এলাকার মোহাম্মদ আবু জাফর ও সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম ও তাদের লোকজন। এ অবস্থায় তারা জমিটি দখলের অপ-তৎপরতা চালালে বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশংকায় অনিন্দ্য কুমার পাল ও সন্দীপন পাল এর পক্ষ থেকে বিগত সময় মহেশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশের নিষেধ উপেক্ষা করে আবু জাফর ও তার লোকজন সংখ্যালঘুদের এ ভূমি দখলের জন্য তৎপরতা চালায়। এরই মধ্যে অনিন্দ্য কুমার পাল ও সন্দীপন পাল কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে এমআর মামলা করেন। মামলা নং ১৭৪৯/২০২১। আদালত সার্বিক বিষয় শোনে বিরোধপূর্ণ এ জমিতে দুই পক্ষকে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য ১৪৪ ধারার আদেশ দেন। এর পর থেকে ত্রাস সৃষ্টি করে মহড়া চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি আবু জাফর মৌখিক ভাবে স্থানীয় কালামিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর ও মীর কাসেম এর পুত্র নজরুল এর কাছ থেকে এ জমি বিক্রি করে দিয়েছে বলে প্রচার করে এবং জাহাঙ্গীর ও নজরুলের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। তারা ইতোমধ্যে ইট, বালিসহ নির্মাণ সামগ্রী মজুদ করেছে বলে সূত্রের অভিযোগ। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা এলাকার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপিকে বিষয়টি অবগত করেছেন। তিনি আইন অনুযায়ী দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মহেশখালী থানাকে বলে দিবেন বলে জানান।
এদিকে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন -আদালতে বিচারাধীন এ বিষয়টি মহেশখালী থানা পুলিশ ও উপজেলা ভূমি অফিস অবগত আছেন। তারা মহেশখালী থানায় প্রতিকার চেয়েও যথাযথ পুলিশি সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে জানান। তাদের অভিযোগ -এ অবস্থায় দখলবাজদের বাঁধা দিতে গেলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এ নিয়ে এসব সংখ্যালঘু পরিবার বেশ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে উল্লেখ করে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।