বিশেষ প্রতিনিধি।। মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া এলাকায় কালারমার ছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্বাস এর নেতৃত্বে রাতের আধারে সশন্ত্র সন্ত্রাসীরা কমান্ডো স্টাইলে একটি বাড়িতে ঢুকে ওই বাড়িতে থাকা নারীকে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন করে চোখ উপড়ে দিয়েছে। নারীর হাতের একটি অংশও ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ সময় বাড়িতে থাকা অন্য সদস্যদের মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে বাড়িটি ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছেন- তারা বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
স্থানীয় সূত্রের তথ্য ও আহতের পারিবারিক সূত্রের অভিযোগ থেকে জানা গেছে -কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ফকিরজোম পাড়া এলাকার বাসিন্দা জনৈক জয়নাল আবেদীন এর এক ভাই কালারমার ছড়ার রুহুল কাদের হত্যা মামলার আসামি। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ আসামিকে খোঁজার ভান ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের বিতর্ক সাধারণ সম্পাদক ও ওই এলাকার মোহাম্মদ আমিন এর পুত্র মোহাম্মদ আব্বাসের নেতৃত্বে তার ভাই রশিদ মিয়া, কলিম উল্লাহসহ এক দল সন্ত্রাসী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কমান্ডো স্টাইলে জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বাড়ির লোকজনের নাম ধরে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং বাড়ির জিনিসপত্র ভাংচুর করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজনের উপর হামলা শুরু করলে অনেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবেরমুখে নিজের সংসার ছেড়ে পালিয়ে না গিয়ে সন্ত্রাসীদের সাথে প্রতিবাদ করতে চান জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী হামিদা আকতার (৪৫)। তিনি হামলাকারীদের বাধা দিতে চাইলে হামলাকারীরা দ্বিগুন উৎসাহে তার উপর হামলে পড়ে। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি মারধোর করে মুমূর্ষু করা হয়, এক পর্যায়ে দা দিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা মারধোর করে গৃহকর্ত্রি হামিদা আকতারের হাতের একটি অংশও ভেঙ্গে দেয় বলে সূত্রের অভিযোগ।
পারিবারিক সূত্রের অভিযোগ- রাতে দীর্ঘ সময় ধরে অস্ত্রের মুখে এ তাণ্ডব চালানোর পর একই স্টাইলে বাড়িটি ত্যাগ করেন। এ সময় এ নিয়ে মামলা না করতে বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকী দিয়ে যায়। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিলে পরর্তীতে খুন করা হবে বলেও শাসিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এদিকে খবর পেয়ে পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসেন, তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চোখের অবস্থা জটিল ও সংকটজনক হওয়ায় তাকে বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকদের শরণাপন্ন করা হলে তারা তাকে চট্টগ্রাম রেফার করেন। বর্তমানে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ওই নারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাতে মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাই জানান- তারা এমন ঘটনার তথ্য পেয়েছেন, আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন পাওয়ার পরবর্তী আইনগত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আহতের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছেন- তারা আহত নারীর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্থ থাকায় এ নিয়ে মামলা করতে বিলম্ব হচ্ছে, এ নিয়ে তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।
সূত্র জানিয়েছে- ঘটনার সময় সবচেয়ে বেশী তাণ্ডব চালিয়েছে যুবলীগ নেতা আব্বাসের ভাই রশিদ মিয়া। এ রশিদ মিয়া একজন সাবেক জলদস্যু সরদার হলেও বর্তমানে সর্বত্র সমানে সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে সূত্রের অভিযোগ। একাধিক মামলার এ আসামি বিগত সময় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিলেও বর্তমানে জেল থেকে ফিরে এসে এলাকায় নিজস্ব সন্ত্রাসী গ্যাং তৈরি করে সময়ে অপরাধকাণ্ড চালি যাচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
কালারমার ছড়ায় যুবলীগের বিতর্কিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্বসকে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে যুবলীগের এ কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জেলা যুবলীগের কমিটি থেকে সিদ্বান্ত আসলেও পরবর্তীতে এ নিয়ে কোনো কার্যকর সাংগঠনিক উদ্যোগ না থাকায় তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে সূত্রে প্রকাশ।
এদিকে রাতের এ তাণ্ডবের পর হামলার শিকার ওই পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে বেশ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে এ নিয়ে তারা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় সূত্রের তথ্য ও আহতের পারিবারিক সূত্রের অভিযোগ থেকে জানা গেছে -কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ফকিরজোম পাড়া এলাকার বাসিন্দা জনৈক জয়নাল আবেদীন এর এক ভাই কালারমার ছড়ার রুহুল কাদের হত্যা মামলার আসামি। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ আসামিকে খোঁজার ভান ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের বিতর্ক সাধারণ সম্পাদক ও ওই এলাকার মোহাম্মদ আমিন এর পুত্র মোহাম্মদ আব্বাসের নেতৃত্বে তার ভাই রশিদ মিয়া, কলিম উল্লাহসহ এক দল সন্ত্রাসী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কমান্ডো স্টাইলে জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বাড়ির লোকজনের নাম ধরে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং বাড়ির জিনিসপত্র ভাংচুর করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজনের উপর হামলা শুরু করলে অনেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবেরমুখে নিজের সংসার ছেড়ে পালিয়ে না গিয়ে সন্ত্রাসীদের সাথে প্রতিবাদ করতে চান জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী হামিদা আকতার (৪৫)। তিনি হামলাকারীদের বাধা দিতে চাইলে হামলাকারীরা দ্বিগুন উৎসাহে তার উপর হামলে পড়ে। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি মারধোর করে মুমূর্ষু করা হয়, এক পর্যায়ে দা দিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা মারধোর করে গৃহকর্ত্রি হামিদা আকতারের হাতের একটি অংশও ভেঙ্গে দেয় বলে সূত্রের অভিযোগ।
পারিবারিক সূত্রের অভিযোগ- রাতে দীর্ঘ সময় ধরে অস্ত্রের মুখে এ তাণ্ডব চালানোর পর একই স্টাইলে বাড়িটি ত্যাগ করেন। এ সময় এ নিয়ে মামলা না করতে বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকী দিয়ে যায়। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিলে পরর্তীতে খুন করা হবে বলেও শাসিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এদিকে খবর পেয়ে পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসেন, তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চোখের অবস্থা জটিল ও সংকটজনক হওয়ায় তাকে বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকদের শরণাপন্ন করা হলে তারা তাকে চট্টগ্রাম রেফার করেন। বর্তমানে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ওই নারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাতে মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাই জানান- তারা এমন ঘটনার তথ্য পেয়েছেন, আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন পাওয়ার পরবর্তী আইনগত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আহতের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছেন- তারা আহত নারীর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্থ থাকায় এ নিয়ে মামলা করতে বিলম্ব হচ্ছে, এ নিয়ে তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।
সূত্র জানিয়েছে- ঘটনার সময় সবচেয়ে বেশী তাণ্ডব চালিয়েছে যুবলীগ নেতা আব্বাসের ভাই রশিদ মিয়া। এ রশিদ মিয়া একজন সাবেক জলদস্যু সরদার হলেও বর্তমানে সর্বত্র সমানে সন্ত্রাস শুরু করেছে বলে সূত্রের অভিযোগ। একাধিক মামলার এ আসামি বিগত সময় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিলেও বর্তমানে জেল থেকে ফিরে এসে এলাকায় নিজস্ব সন্ত্রাসী গ্যাং তৈরি করে সময়ে অপরাধকাণ্ড চালি যাচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
কালারমার ছড়ায় যুবলীগের বিতর্কিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্বসকে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে যুবলীগের এ কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জেলা যুবলীগের কমিটি থেকে সিদ্বান্ত আসলেও পরবর্তীতে এ নিয়ে কোনো কার্যকর সাংগঠনিক উদ্যোগ না থাকায় তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে সূত্রে প্রকাশ।
এদিকে রাতের এ তাণ্ডবের পর হামলার শিকার ওই পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে বেশ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে এ নিয়ে তারা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।