উত্তাল মার্চের ১১ তম দিনে আন্দোলনের ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে। বিশ্বময় জনমত গঠনের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এদিন থেকেই। এদিন সাড়ে সাত কোটি মানুষের মানবিক অধিকার আদায়ের সপক্ষে সমর্থন দান করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের মহাসচিব উথান্টের কাছে আহ্বান জানান। ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে একটি তারবার্তা প্রেরণ করে ভুট্টো। তারবার্তায় ভুট্টু ঢাকায় আসতে রাজি আছেন বলে জানান।
পশ্চিম পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের প্রতি ইয়াহিয়া অপর একটি বার্তায় অবিলম্বে প্রতিকার না করা গেলে পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করে প্রতিকারের উপায় বের করার জন্য অনুরোধ করে একই দিন। এদিকে আন্দোলনের ফল হিশাবে পশ্চিম পাকিস্তানে নিউজপ্রিন্টের অভাব পড়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে এদেশের কাগজ পাকিস্তানে না যাওয়ার কারণেই মূলত এরূপ পরিস্থিতি হয়।
নিউজপ্রিন্টের অভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের সংবাদপত্রের কলেবর হ্রাস পেতে থাকে। ফলস্বরূপ, করাচি থেকে প্রকাশিত ডনসহ পশ্চিম পাকিস্তানের পত্রিকাগুলোর কলেবর ১৪ পৃষ্ঠার পরিবর্তে মাত্র ৪ পৃষ্ঠা ছাপা হয় এদিন। এর আগে এসব পত্রিকা খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের কাগজ ব্যবহার করে। গত ১ মার্চ থেকে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে চালান বন্ধ করাতেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
৩২ হাজার টন গমভর্তি জাহাজ ভিনটেজ হরিজন ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও এদেশের মানুষকে অত্যাচারের অংশ হিশাবে জাহাজটির গতিপথ পরিবর্তন করে করাচি অভিমুখে যাত্রা করায় জান্তা সরকার।