Advertisement


আজ মাওলানা ভাসানী পাকিস্তানীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেন


মুহম্মদ হেলাল উদ্দিন

উত্তাল মার্চের ৯ম দিন আজ। সারাদেশ ব্যাপি আন্দোলনের দাবানল স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়থে থাকে। এদিন পূর্ব বাংলার (বাংলাদেশের) স্বাধীনতা স্বীকার করে নেওয়ার জন্য মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পাকিস্তানীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন। তিনি ১৪ দফার ভিত্তিতে স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দেন। আন্দলনের নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। সামরিক বাহিনীর পশ্চিম পাকিস্তানি অফিসারদের পরিবারবর্গকে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠানো শুরু হয় একাত্তরের এদিন থেকে।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অনুযায়ী এ দেশের সকল সরকারি অফিস অচল হয়ে পড়ে। ৭ মার্চের ভাষণই হয়ে ওঠে মুক্তি সংগ্রামের একমাত্র নির্দেশক। এ দিন মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটর সংশ্লিষ্ট সামরিক বিধি পরিবর্তন করে সামরিক শাসন পরিচালক পদে লে. জে. টিক্কা খানকে নিয়োগ দেয় পাকিস্তান সরকার। এর আগে ৬ মার্চ টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো।

উত্তাল মার্চের ৯ম দিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরি সভায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এই সভায় আরেকটি প্রস্তাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বাংলাদেশে জাতীয় সরকার’ গঠনের জন্য প্রস্তাব পাশ করে অনুরোধ করা হয়। এদিন পল্টনের এক জনসভায় মওলানা ভাসানী ঘোষণা করেন, ২৫ মার্চের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে আন্দোলন করবেন তিনি। এনিয়ে টেলিফোনে মুজিব-ভাসানী আলোচনাও হয়।

আন্তর্জাতিক মহল ঘটনার মোড় বুঝতে পেরে ঢাকা থেকে বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নিতে স্ব-স্ব দেশ থেকে ঢাকায় বিমান অবতরণ করা শুরু করে। কঠিন বাস্তবতায় ‘প্রয়োজনবোধে’ জাতিসংঘের স্টাফ ও তাদের পরিবারকে অপসারণের নির্দেশ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।