তিনি জানান- ১৬ মে রাত্রিকালীন মাদক উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে কুতুবজোম এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন মহেশখালী থানা পুলিশের একটি ইউনিট। এ সময় গভীর রাতে অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে এসআই আবু বক্কর, এএসআই জাহিদ ও এসআই আব্দুল্লাহ আল-ফারূকসহ পুলিশ টিম কুতুবজোম ইউনিয়নের সাহেব মিয়াপাড়া এলাকার জনৈক আব্দুল্লাহর দোকানের সামনের সড়কে পৌঁছুলে এখানে গভীর রাতে দুই ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যেতে দৌঁড় শুরু করে। এ সময় পুলিশও তাদের পিছু নেয়। রাত ২টার কিছু সময় পর পুলিশ ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে মোহাম্মদ নাসির(৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হন। নাসির কুতুবজোম পূর্ব পাড়ার মৃত পুতু মিয়ার পুত্র।
এ সময় পুলিশ তার দেহ তল্লাশি করে পরিহিত লুঙ্গির কোমরের ভাঁজ থেকে একটি অবৈধ ওয়ান শুটার গান (এলজি) উদ্ধার করে। এ অবস্থায় অপর ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ হাবিব বলে জানিয়েছে নাসির। হাবিব একই এলাকার জনৈক ফরিদ এর পুত্র। জিজ্ঞাসাবাদে নাসির জানায়- হাবিব তাকে এ বন্দুকটি দিয়েছে এবং তা মহোশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা এলাকার রিয়াজ নামের এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলো তারা।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।