Advertisement


মহেশখালীতে হামলার শিকার নছর উল্লাহর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক।। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালীতে পান বরজে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঘটা হামলার শিকার দিন মজুর নছর উল্লাহ (৩২) একমাস হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২৩ মে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের পরিবার। নিহত নছর উল্লাহ উপজেলার ছোট মহেশখালী উম্বনিয়া পাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে। মৃত্যুকালে নছর উল্লাহ ৩ বছরের এক ছেলে শিশু রেখে গেছেন। 

জানা গেছে, 'গত ১৩ এপ্রিল নছর উল্লাহ ছোট মহেশখালী উম্বনিয়া পাড়াস্থ আব্দুল জব্বারের পান বরজে দৈনিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গেলে একই এলাকার মোছন আলীর পুত্র খাইরুল আমিনের সাথে তুচ্ছ ঘটনায় বাকবিতন্ডা হয়, পরে মিমাংসাও হয় সে ঘটনা। এরপর হঠাৎ অতর্কিতভাবে এসে বরজে কর্মরত অবস্থায় নছর উল্লাহকে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় খাইরুল আমিন।

এসময় নছুর উল্লাহ মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী পানচাষীরা নছর উল্লাহকে দ্রুত মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ১০দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর সেখান থেকেও তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে ১৮দিন চমেকের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসকরা মৃত্যু নিশ্চিত করে নছর উল্লাহকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। 

এ ঘটনায় গত ১৮ এপ্রিল মহেশখালী থানায় ৬জনকে আসামি করে একটি মামলা করে নিহতের পরিবার। কিন্তু ঘটনার ১মাসেও কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ নছরের এলাকাবাসীসহ অনেকে। স্থানিয় সাংবাদিক এম বশির উল্লাহ জানান, 'এ ঘটনা নিয়ে গত ৪দিন আগেও "মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ছে পানচাষি; বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামি" শিরোনামে একটি ফলোআপ সংবাদ করি। সংবাদের কাটিং কপি নিয়েও ওসিকে অবহিত করেছি, কিন্তু পুলিশের দায়িত্বহীনর কারণে এখন অব্দি কোনো আসামি ধরা পড়েনি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো চমেক হাসপাতালে নিহত নছরকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নুরুল আমিনের শেষ সহায়সম্বল ঘরের ভিটেটাও বিক্রি করে ফেলতে হয়েছে বলে জানান ঐ সাংবাদিক। এদিকে নিহত নছর উল্লাহর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলো জানা গেছে।

ফুয়াদ//