এই ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সিএনজি চালক আবদুল খালেক ২০১৩ সালে মাঝেরপাড়া থেকে ১৫ কড়া জমি ক্রয় করেন। এই জায়গার পাশে অবশিষ্ট ২২ কড়া জায়গা ক্রয় করেন আবদুল খালেকের শ্বশুর মৃত আবদুল কাদের মিস্ত্রি। জায়গা কেনার পর সেখানে ঘর নির্মাণ করেন আবদুল খালেক। কিন্তু মৃত আবদুল কাদের পুরো জায়গা কিনেছিলেন বলে দাবি করে আসছিলেন। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বিচার-সালিশ হয়। এক পর্যায়ে আদালতে একটি ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা আনে মৃত আবদুল কাদের গং। এই ১৪৪ ধারার দোহাই দিয়ে গত ৩০ এপ্রিল মৃত আবদুল কাদের মিস্ত্রির পুত্র আব্দুল্লাহ আল মুবিনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন নারী-পুরুষ গিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় অসহায় সিএনজি চালক আবদুল খালেকের বসতবাড়ি গুড়িয়ে দেয়। এসময় বাধা দিতে চেষ্টা করলে আবদুল খালেকের স্ত্রী জেসমিন আকতারকে রশি দিয়ে বেঁধে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়। এসময় ছেলে মোঃ সোহেলকেও বেড়ধক মারধর করে। এক পর্যায়ে ঘরের ফ্রিজ, খাট এবং অন্যান্য আসবাবপত্রসহ বাড়িতে থাকা সব জিনিসপত্র নষ্ট করে বাইরে ফেলে দেয়।
মারধরে গুরুতর আহত জেসমিন আকতার ও মোঃ সোহেলকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নির্যাতনের শিকার জেসমিন আকতার বলেন, হামলাকারীরা যেভাবে নিষ্ঠুরভাবে হামলা চালিয়েছে, তা সভ্য সমাজে ঘটে না। কিন্তু অামরা অসহায় বলে বিচার পাই না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।
ভুক্তভোগী সিএনজি চালক আবদুল খালেক বলেন, আমি সবকিছু যাচাই করে জায়গাটি ক্রয় করেছি। নিষ্কন্টকভাবে দলিলও করা হয়েছে। কিন্তু গায়ের জোর আর টাকার জোরে আবদুল্লাহ আল মুবিন আমার জায়গাটি অন্যায়ভাবে দখল করতে চাচ্ছে। আমি প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর এই জুলুমের বিচার চাই।