Advertisement


কালারমার ছড়ার যুবলীগ সা. সস্পাদক আব্বাস ও এক সহযোগী মিলে মাতারবাড়ির নারীকে ধর্ষণ


নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কালারমার ছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্বাস ও তার অপর সহযোগী একই ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার যুবক হাবিব উল্লাহ মিলে পালাক্রমে মাতারবাড়ির এক নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ওই নারীর পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শালিশ-বিচারের প্রলোভন দিয়ে পালাক্রমে এ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ সময় বাধা দেওয়ায় ওই নারীকে ব্যাপক মরধোর করা হয় বলেও অভিযোগে প্রকাশ। এ নিয়ে যুবলীগ নেতা আব্বাস ও তার সহযোগী হাবিব এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন ওই নারী। 
 
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- মাতারবাড়ির 'লা' অধ্যক্ষরের ওই নারীর সাথে তার স্বামীর বিরোধ চলছিল। ( সঙ্গত কারণে নারীর বিস্তারিত নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হলো না।) দুর্সম্পকের আত্মীয় -পরিচয়ের সূত্র ধরে বিষয়টির শালিশ রফার কাজ করছিল কালারমার ছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সস্পাদক মোহাম্মদ আব্বাস। সম্প্রতি শালিশ-বিচারের এ প্রক্রিয়াটি চলছিলো। এরই মধ্যে গত ২২ জুন বিকেলে ওই নারী ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষে মহেশখালী উপজেলা সদর (গোরকঘাটা) থেকে গাড়িযোগে মাতারবাড়ির বাড়িতে ফিরছিলেন। তাকে বহনকারী গাড়িটি কালারমার ছড়া পৌঁছুলে পথে দাঁড়িয়ে থেকে ওই গাড়িটি দাঁড় করায় যুবলীগ নেতা আব্বাস ও তার সহযোগী হাবিব। এ সময় তারা শালিশ-বিচারের বিষয়টি উল্লেখ করে এ নিয়ে তার স্বামী তাদের কাছে এসেছেন বলে জানায়। শালিশের বিষয়ে তাদের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক দরকার আছে বলে জানিয়ে ওই নারীকে স্বামীর কাছে আসতে বলে। স্বামী কোথায় আছে জানতে চাইলে পাশের একটি বাড়িতে আছে বলে জানায় আব্বাস। পরে ওই নারীকে একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে তার স্বামীকে না দেখে সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি আসলে কী হচ্ছে জানতে চান। এরইমধ্যে আব্বাস ও হাবিব ওই নারীকে কুপ্রস্থাব দেয়। এতে রাজি না হলে তারা জোরপূর্বক পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষন করে বলে মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ সময় বাধা দিতে চাইলে ওই নারী বেশ মারধর করা হয় বলে মামলা সূত্রে জানা গেছে।

এ নিয়ে ওই নারী বাদি হয়ে আব্বাস ও হাবিব এর বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় ধর্ষন মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে মামলাটি গ্রহণ করে মামলার পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ।