মহেশখালী থানা সূত্র জানায় -শুক্রবার সন্ধ্যায় জহির আহমদ নামের ওই ব্যক্তিকে মাতারবাড়ির তিতামাঝির পাড়া থেকে তাকে গ্রোফতার করা হয়। জহির -তিতামাঝির পাড়া গ্রামের জনৈক ইমদাদ আলীর পুত্র।
সূত্র জানায় -১৯৮৩ সালে সংগঠিত একটি ঘটনায় সে সময় মহেশখালী থানায় একটি মামলা হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর আদালত ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে জহির আহমদকে ১৪ বছরে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে মামলার রায় প্রদান করেন। রায় প্রকাশের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন বলে সূত্রে প্রকাশ। আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি মহেশখালী থানায় আসার পর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায়, পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে -এতোদিন এই লোক প্রকাশ্যে চলাফেরা করতেন এবং তৎকালীন এ মামলার বিষয়টি সুরাহা হয়ে গেছে মর্মে তিনি প্রচার করতেন।
মহেশখালী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) প্রনব কুমার চৌধুরী জানান- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে জহির আহমদকে গ্রেফতার করেন।
মূলত: মাতারবাড়ির বাংলাবাজার এবং পুরান বাজার এলাকার মাঝামাঝি স্থানের সড়ক থেকে তাকে গ্রেফতার হয় বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
গ্রেফতার হওয়া জহির আহমদ এর বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।