Advertisement


মহেশখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরাদ্দ থেকে অবৈধ কমিশন নেন শিক্ষা অফিস


রকিয়ত উল্লাহ।।
মহেশখালী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য গত অর্থ বছরের স্লিপ, রুটিন ম্যান্টেইনস, প্রাক-প্রাথমিক ও ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য জুন মাসের সরকারি বরাদ্দ থেকে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার -এমন কি কোনো কোনো বিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার টাকা করে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। কোন বিদ্যালয় কমিশন না দিলে তাদের উপর বিভিন্ন অযুহাতে চাপিয়ে দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ ওঠেছে। তবে শিক্ষা অফিস বলছে- এ ধরণের কোনো টাকাই নেওয়া হয় না।

সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী উপজেলায় ৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের স্লিপ, রুটিন ম্যান্টেইনস, প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র মেরামত ও মনিহারির জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেয় সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।  সে অনুযায়ী বিল তুলে কাজ করতে গেলেই প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে কথিত 'অফিস খরচ' বলে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা করে কমিশন নেন খোদ টিও ও এটিও এবং অফিসের কর্মরত কর্মচারী একটি সিন্ডিকেট। -এমনই  অভিযোগ ভুক্তভোগী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের। তারা প্রতিবছর অফিস খরচ বলে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে  লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভাগ-বাঁটোয়ারা করেন বলে জানান প্রধান শিক্ষকেরা।

কয়েকজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার  শর্তে বলেন, বরাদ্দ পাওয়া টাকা থেকে অফিস খরচ বলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৩ হাজার টাকা, ক্ষুদ্র মেরামত খাত থেকে ৬ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।  এরকম প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে কমিশন নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, "আমরা বরাদ্দ পাওয়া থেকে কমিশন না দেওয়ায় আমাদেরকে  নানা ভাবে হয়রানি করতেছে।  এমনকি কৌশলে বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করে দিয়ে আমরা সব খেয়ে ফেলতেছি বলে চোর বলে অপবাদ দিচ্ছে। যা অত্যান্ত অপমানজনক। একই সাথে নানা ভাবে হয়রানি করেই আসছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।"

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা প্রাথমিক সহকারী  শিক্ষা অফিসার আবু নোমান ফারুকীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে কিনা দেখতে হয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। অফিস খরচ বলে কোন টাকা দিতে হয় না এবং কারও কাছ থেকে অফিস খরচ বলে টাকা নেওয়া হয় না বলে জানান৷

বিষয়টি নিয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়াছিন এর কাছে জানতে চাইলে -তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না, এ নিয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানান।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানাবেন বলে জানান।